লিয়ন মীর : ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান মনে করেন, এবারের নির্বাচন ডাকসুর ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক ইতিহাস ম্লান করে কলঙ্কের অধ্যায় সূচনা করেছে। নেতা তৈরির সূতিকাগার এবং দ্বিতীয় পার্লামেন্টখ্যাত ডাকসু এই কলঙ্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অন্ধকার পথে যাত্রা শুরু করেছে।
ডাকসুর সাবেক এই নেতা আরও বলেন, শাসকগোষ্ঠী এবং প্রশাসন একাকার হয়ে একটি সাজানো নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। গণতন্ত্রের ভাষায় এই নির্বাচনকে কোনো বিবেচনায়ই নির্বাচন বলা যায় না। প্রতিটিই হলেই আগের রাতে সিল মেরে রেখেছে। কিছু কিছু হলে শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে ধরা পড়েছে। আবার কিছু কিছু হলে ধরার কেউ ছিলো না বলে ধরা পড়েনি, কিন্তু প্রতিটি হলেই আগের রাতে সিল মেরে রেখেছিলো।
তিনি বলেন, এবারের ডাকসু নির্বাচন বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিলো এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, সেই গৌরবোজ্জ্বল সকল ইতিহাসের কবর রচনা করেছে ১১ মার্চের ডাকসু নির্বাচন। এই ইতিহাস হত্যার দায়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী, ছাত্রলীগ এবং সরকারের পিয়ারখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একদিন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর যেমন আগের রাতে নির্বাচন হয়েছিলো ঠিক তেমনি একইভাবে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। এই সরকার দিনের ভোট এখন রাতেই সম্পন্ন করে। দিনের বেলায় এখন আর কোনো ভোট হয় না। রাতে ভোটের প্রচার শুরু করেছে এই আওয়ামী লীগ সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :