সান্দ্রা নন্দিনী : বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের চিফ অ্যাডমিরাল ফিলিপস ডেভিডসন ও মার্কিন কংগ্রেসের প্রভাবশালী ৬ আইনপ্রণেতা। তাদের ভাষ্য, বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রচলনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইনোকমিক টাইমস
মার্কিন সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ডেভিডসন এবিষয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ডেভিডসনের সাক্ষ্যের কয়েকঘণ্টা পর মার্কিন হাউজের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি প্রধান এলিট এঞ্জেলের নেতৃত্বে ছয়জন আইনপ্রণেতা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে একটি চিঠি লেখেন। যেখানে বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় ‘সময়োপযোগী পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
কংগ্রেস শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে এসে ডেভিডসন বলেন, ‘বাংলাদেশের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ক্ষমতা আকড়ে ধরে থাকার প্রবণতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের আকাংক্ষার স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার উল্লেখ করে ডেভিডসন বলেন, সন্ত্রাসদমন, সহিংস ধর্মীয় মৌলবাদ হ্রাসকরণ, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ত্রাণ এবং সর্বোপরি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে অংশ নেওয়ার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ বলে বিবেচিত।
অন্যদিকে, ছয়জন আইনপ্রণেতা পম্পেওকে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে ওঠা কারচুপি ও ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিৎ। আমরা বাংলাদেশের চলমান গণতন্ত্রের নেতিবাচক গতিধারায় খুবই উদ্বিগ্ন। তাই গ্রহণযোগ্যতার অভাব থাকা দেশটির ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে ওঠা যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগগুলোর বিষয়ে একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানাই।’