শিরোনাম
◈ বাংলা‌দে‌শে ওয়াহাবি-সালাফি কারা,  এরা আলোচনায় কেন ◈ বিপিএলে খেল‌বে নোয়াখালী  ◈ বরখাস্ত করা হোক কোচ গৌতম গম্ভীরকে, উত্তাল ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ◈ করোনার পর এবার ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ ◈ লটারিতে নির্ধারিত ৬৪ জেলার এসপি: সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের নতুন উদ্যোগ ◈ মোহাম্মদপুরে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবা গুরুতর আহত ◈ জাতীয় অর্থনীতি ও কৌশলগত সম্পদে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু জনগণের নির্বাচিত সরকারের: তারেক রহমান ◈ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কে যা বললেন আইনজীবী পান্না ◈ দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু বিপর্যয়ের সতর্কবার্তা: ৯০% বাংলাদেশি উচ্চ ঝুঁকিতে ◈ নতুন আইনে বাতিল হচ্ছে অসংখ্য দলিল, রয়েছে জেল ও অর্থদণ্ড

প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:৪৮ সকাল
আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২১ বা ২২ ক্যারেট নয়, ভারত এখন ৯ ক্যারেট সোনায় ঝুঁকছে

ভারতের সোনার বাজারে নতুন এক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এখন এক ভরি ৯ ক্যারেট সোনা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫৩,৭৮৪ রুপিতে। তুলনা করুন বাংলাদেশে এক ভরি সোনার দাম প্রায় ২ লক্ষ ১৪,০০০ টাকার মধ্যে। হ্যাঁ, এটি ভারত সরকারের অনুমোদনে সম্ভব হয়েছে। কারণ তারা ৯ ক্যারেট সোনা সক্রিয়ভাবে প্রচার করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মূল কারণ হলো সোনার ক্রমবর্ধমান দাম, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ক্রয়যোগ্যতা কমিয়ে দিয়েছে। ২৪ বা ২২ ক্যারেটের সোনা এখন লাক্সারি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্যবিত্ত ক্রেতারা সহজে তা কিনতে পারছে না।

৯ ক্যারেট সোনার বৈশিষ্ট্য ও জনপ্রিয়তা

নয় ক্যারেট সোনায় থাকে মাত্র ৩৭.৫% খাঁটি সোনা, বাকিটা তামা, রুপা ও অন্যান্য ধাতুর মিশ্রণ। এতে সোনা টেকশই, সাশ্রয়ী এবং আধুনিক ডিজাইনে আকর্ষণীয় হয়। ৩% জিএসটি যোগ করলে খুচরা মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫,৫০০ রুপি প্রতি ভরি।

এর তুলনায় ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৫০ হাজার রুপিরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য ৯ ক্যারেট সোনা হয়ে উঠেছে বাস্তবসম্মত বিকল্প। সম্প্রতি ভারতের ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও নয় ক্যারেট সোনার হলমার্কিং অনুমোদন দিয়েছে।

ব্র্যান্ডের দৃষ্টি ও নতুন সুযোগ

জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন জুয়েলবক্স, সেনকো গোল্ড, এবং শ্রদ্ধা কাপুরের ব্র্যান্ড পালমোনাস এখন এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। জুয়েলবক্সের প্রতিষ্ঠাতা বিধিতা কোচার বলেন, “দক্ষিণ ভারতের কিছু অঞ্চলে ১৮ বা ২২ ক্যারেট সোনাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নয় ক্যারেট সোনার জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। এটি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য টেকশই এবং আকর্ষণীয়।”

সেনকো গোল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর সেন জানান, “নয় ক্যারেট সোনায় আধুনিক নকশা তৈরি সহজ। ডিজাইন ইনোভেশনের সুযোগ বেশি।”

ব্র্যান্ডগুলো ল্যাবগ্রোন ডায়মন্ডের সঙ্গে ৯ ক্যারেট সোনা যুক্ত করে ১০–২০ হাজার রুপিতে স্টাইলিশ গয়না তৈরি করছে। ফলে জেনজিস ও মিলেনিয়াল ক্রেতারা কম খরচে পরিবেশবান্ধব এবং আধুনিক গয়না কিনতে পারছে।

বিশ্ববাজারে সোনার নতুন বাস্তবতা

ভারত ও চীন বিপুল পরিমাণ সোনা মজুদ করার কারণে, দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য কম ক্যারেট সোনা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিনিয়োগের জন্য এখনও খাঁটি সোনা ক্রয় করা হয়, কিন্তু সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে এখন ৯ বা ১৪ ক্যারেট সোনা ব্যবহারিক বিকল্প হিসেবে গ্রহণযোগ্য।

বাজার বিশ্লেষকরা বলেন, “তরুণ প্রজন্মের কাছে এখন আর সোনার মান নির্ভর করছে শুধু বিশুদ্ধতার উপর নয়, বরং ব্যবহারের সুবিধা, ডিজাইন ও মূল্যের ভারসাম্যের উপর।”

ফলে ভারতীয় সোনার বাজারে পুরনো সমীকরণ বদলে যাচ্ছে। এক সময় যেখানে নিয়ম ছিল, ‘যত বিশুদ্ধ তত মূল্যবান,’ সেখানে এখন নতুন ধারণা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে: যত ব্যবহারযোগ্য, তত জনপ্রিয়।

নতুন এই প্রবণতা ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী গয়নার সংস্কৃতিতে যোগ করেছে ব্যবহার-কেন্দ্রিক ও বাস্তবমুখী অধ্যায়।

সূত্র: জনকণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়