খায়রুল আলম : সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালীউর রহমান বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষপটে বুঝা যাচ্ছে যে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপের সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে গেলে দেখা যায়, সমস্ত দলের মানুষ উৎফল্লভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। নির্বাচন কখন হবে সেটার দিকে ভোটাররা তাকিয়ে আছে। নির্বাচন আমাদের দেশের একটি বড় অধ্যায়। আমার প্রত্যাশা, গত দশ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে গেছে, তার ধারাবাহিকতায় আরো পাঁচ বছর এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা সরকার থাকলেই আমাদের দেশ একটি উন্নত দেশে পৌঁছাবে। সামনের নির্বাচনটি একটি ভালো নির্বাচন হবে। যারা বিভিন্নভাবে অভিযোগ করছে, তারা চাইছে না নির্বাচনটি সুষ্ঠু হোক। তারা নির্বাচন নিয়ে কোনো একটি ষড়যন্ত্র করতে চাচ্ছে। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিরোধী দল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করছে। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পরে ড. কামাল হোসেন বলছেন, এক কথা অন্য দিকে মীর্জা ফখরুল ইসলাম বলছেন, আরেক কথা। আবার খবরের কাগজে দেখা যায় বিদেশি কিছু সংস্থা বিএনপির সাথে জড়িত আছে। তারা আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণ কখনো ভুল করেনি। এবারও ভুল করবে না। বিএনপি তাদের ইশতেহারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে কিছু লেখেনি। এটিই হচ্ছে তাদের আসল পরিচয়। তারা বলেছে, ক্ষমতায় আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেবে। আবার কামাল হোসেন বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চালু থাকবে। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির ইশতেহারের লেখা ছিলো ক্ষমতায় গেলে তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম চালু রাখবে। কিন্তু তারা সেটি না করে খুনিদের সুযোগসুবিধা দিয়েছে। আমাদের জন্য একটি দুঃখজনক ব্যাপার ড. কামাল হোসেনর মতো লোক যুদ্ধাপরাধীদের সাথে মিলেছেন। তিনি সংবিধান প্রণেতাদের একজন। কিন্তু জামায়াত কারা? যারা সংবিধান বিশ্বাস করে না, যারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না। তাদের সাথে ড. কামালের উঠা-বসা। সব কিছুর পরে আমি আশা করি নির্বাচন হবে এবং সুষ্ঠু সুন্দর হবে। তবে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে। আমি আশা করবো, তারা যেন এটি না করে। কারণ সংবিধান অনুযায়ী এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখে হাসিনা বলেছেন, যতোবাধাই আসুক এবারের নির্বাচন হবে। তাই বিএনপি নির্বাচনে না আসলে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। এটি তাদের বাঁচা-মরার লড়াই। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের তো কোনো আদর্শই নেই। তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :