মাসুদ রানা, লন্ডন, ইংল্যান্ড থেকে
রেটরিক যতো ভিন্নই হোক না কেনো, জাতীয়তাবাদের প্রতি সা¤্রাজ্যবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদ উভয় শত্রুভাবাপন্ন। প্রশ্ন হতে পারে : কেন? সা¤্রাজ্যবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদের মূলে আছে এক অভিন্ন আকাক্সক্ষা, আর তা হলো বিশ্বের জাতিসমূহের কাছে তাদের জাতিগত আত্মপরিচয়কে গৌণ করে, একটি বৈশ্বিক পরিচয়ের অধীনে নিয়ে আসা। লক্ষণীয়, আন্তর্জাতিকতাবাদের বাহন হিসেবে আবির্ভূত হয় এর নেতৃত্বদানকারী জাতির ভাষা এবং সে-জাতির সবকিছুই হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিকতাবাদের স্ট্যান্ডার্ড বা মান।
ঐতিহাসিকভাবে, একটি নির্দিষ্ট ভূখ- থেকে একটি জাতি শক্তিতে, সম্পদে, বুদ্ধিতে, সংস্কৃতিতে একটি স্তরে উন্নীত হয়ে অপরাপর ভূখ- ও সেখানকার জাতিসমূহকে তার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে চায়, যার পেছনে থাকে কতিপয় বস্তুনিষ্ঠ প্রতিপত্তি ও প্রাপ্তির প্রত্যাশাজাত বহুবিধ কারণ। আর, ঐ কাক্সিক্ষত নিয়ন্ত্রণকে গ্রহণযোগ্য করানোর জন্যই তারা নিয়ন্ত্রিত জাতির আত্মপরিচয়ের ‘ঊর্ধ্বে’ (বাইরে) একটি ‘আন্তর্জাতিক’ পরিচয়ে ‘উন্নীত’ (নিয়ন্ত্রাণাধীন) করে।
আমি জানি, যারা নিজেদেরকে আন্তর্জাতিকতাবাদী হিসেবে দাবি করেন, তাদের প্রায় সকলেই আমার এই ব্যাখ্যার প্রতি ভিন্নমত পোষণ করবেন এবং এমনটি করার পেছেন থাকতে পারে তাদের দিক থেকে বিবিধ কারণ।
প্রথমত : আমার এই ব্যাখ্যা নতুন ও অনন্য বলে তারা হঠাৎ করে নিতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত : তাদের বিশ্বাসিত ‘আদর্শ’র মূলে এই ব্যাখ্যা কুঠারাঘাত করবে বলে, তারা বুদ্ধিবৃত্তিক ভীতি থেকে ক্ষিপ্ত ও আক্রমণাত্মক হয়েও উঠতে পারেন। যাহোক, বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উৎসাহীদের প্রতি আমার কথাগুলো নিরাসক্তভাবে পাঠের আহবান রইলো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :