আবু হাসান শাহরিয়ার : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অৎ জধলরকে আমি সত্য ও সুন্দরের সতীর্থ হিসেবে চিনি। মিথ্যাশ্রয়ী সমাজে তিনি একজন বিরলপ্রজ বস্তু ও তথ্যনিষ্ঠ সত্যভাষী। আর তাই, তাকে আমার কবিতায়ও ধারণ করেছি। তার বিরুদ্ধে যারা 'জামাত-শিবির' বলে কুৎসা রটাচ্ছেন, আমি তাদের মিথ্যাবাদী ও অসুন্দর বলে জানি। সময় বড়ো বলবান। সব অসুন্দরকে সে ত্যাজ্য করে। কোটা সংস্কার আন্দোলন বিষয়ে বক্তব্য রাখায় আর রাজীর বিরুদ্ধে উপাচার্য বরবাবর পেশকৃত 'স্মরকলিপি'র (স্মারকলিপি) নিচে স্বাক্ষরকারী ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর টিপুকে আমি ব্যক্তিগতভাবে না চিনলেও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সুবাদে চিনি : "যে-জনগণ সংঘবদ্ধভাবে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেই জনগণ কিন্তু আজও আছে।
যদি আজ জনগণ আপনাদের অশ্রদ্ধা করে, যদি আজ জনগণ আপনাদের ভালো না বাসে, জনগণ যদি আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলে, সেই জন্য বাংলার জনগণ দায়ী হবে না- দায়ী হবেন আপনারা, দায়ী হব আমরা।... তোমরা আত্মসমালোচনা করো, আত্মসংযম করো। তোমরা আত্মশুদ্ধি করো। দুই চারটা পাঁচটা লোক অন্যায় করে, যার জন্য এত বড় প্রতিষ্ঠান- যে প্রতিষ্ঠান ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, যে-প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা এনেছে, তার বদনাম হতে পারে না। আওয়ামী লীগ তাদের উৎখাত করে দিতে হবে- আওয়ামী লীগে থাকার তাদের অধিকার নেই।" (শেখ মুজিবুর রহমান (১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে)
মহান মুজিব আওয়ামী লীগকে আত্মশুদ্ধির মহার্ঘ নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আর, মুজিবকন্যাই বর্তমান আওয়ামী লীগের কা-ারি। আশা করি, তিনি বুঝবেন, ছাত্র লীগের এই সাবেক নেতা বঙ্গবন্ধুকে মোটেও লালন করেন না। করলে এমন কুরুচিপূর্ণ 'স্মারকলিপি'র নিচে তার স্বাক্ষর থাকত না।
জয় বাঙলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
পরিচিতি: কবি/ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :