মতিনুজ্জামান মিটু : পাইলস রোগের মহা ঔষধ কুচিয়া মাছ দেশের মানুষ পায় না এবং পেলেও খায় না। বাংলাদেশের নির্বাচিত এলাকায় কুচিয়া ও কাঁকড়া চাষ এবং গবেষণা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. বিনয় কুমার চক্রবর্তী জানান, কুচিয়াকে ঔষধি মাছ বলা যায়। কুচিয়া মাছ হজম শক্তি বাড়ায়, পাইলস রোগের মহা ঔষধ, বেদনানাশক, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, শ্বাসকষ্ট দূরিকরণে সহায়তা করে। কুচিয়া মাছ খেলে শরীরের রক্তসল্পতা দূর হয় এবং বসন্ত রোগ তাড়াতাড়ি সারে।
প্রতি ১০০ গ্রাম কুচিয়ার মাংসে ১৮.৭ গ্রাম প্রোটিন, ০.৮ গ্রাম ফ্যাট, ২.৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১৮৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়া মানুষের শরীরের উপকারি অত্যাবশ্যক এমাইনো এসিড রয়েছে এতে। দেশে বছরে গড়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন কুচিয়া মাছ প্রকৃতি থেকে আহরণ এবং চাষের মাধ্যমে উৎপাদন হয়ে থাকে। যার প্রায় পুরোটাই বিদেশে রপ্তানী হয়ে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত দেশে থেকে ৩৭ হাজার ৬৩১ মেট্রিক টনের বেশি কুচিয়া মাছ বিদেশে রপ্তানী করা হয়। ধর্মীয় এবং আর্থিক কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষের ধরাছোয়ার বাইরে থাকে কুচিয়া মাছ। এদেশে মুসলমানেরা কুচিয়া মাছ খায় না এবং হিন্দু বা অন্যান্য ধর্মের লোকেরা খেলেও অত্যাধিক দামের কারণে কুচিয়া মাছ কিনতে পারে না।