নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্রসবারের নাকি একটি ক্ষমতা আছে। ফুটবলের ক্ষেত্রে এ প্রবাদটি চলে আসছে অনেক আগে থেকেই। মঙ্গলবার সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে যেন ভিলেন হয়েই এসেছিল সেই ক্রসবার। একটা দুইটা নয়, চার চারটি আক্রমণ তাদের ভেস্তে গেছে ক্রসবারে লেগে। এতগুলো আক্রমণ ক্রসবারে প্রতিহত হলে কোন দলের পক্ষে ম্যাচ জেতা সম্ভব না। জিততে পারেনি সাইফ স্পোর্টিংও।
মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে এএফসি কাপের কোয়ালিফাইং প্লে-অফ হোম ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছে স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া সাইফ দ্বিতীয়ার্ধে দাপুটে ফুটবল খেলেও গোল বের করতে পারেনি। ২৩ মিনিটে আনাতোলির গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
সফরকারি দলের প্রধান গোলরক্ষক বেলারুশের আসনিন ইনজুরিতে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ ছাড়েন। এরপর গোলপাস্টে দাঁড়ান ইব্রাহিম নাদিম। পোস্টের নিচে গালিভারের পরিবর্তে যেন লিলিপুট। ছোটোখাটো গড়নের গোলরক্ষককে অবশ্য বেশি আক্রমণ ঠেকাতে হয়নি। তার সব কিছু যে করে দিয়েছে পেছনের ক্রসবার।
৫৯ মিনিটে ফাঁকা গোলপোস্ট ছিল আন্দ্রেসের সামনে। কিন্তু সাইফের কলোম্বিয়ান এ ডিফেন্ডার যে শট নিলেন তা ফিরে ক্রসবারে লেগে। দুর্ভাগ্যের শুরুটা তখনই। আক্রমণের পর আক্রমণ-ধরে নেয়া হয়েছিল যে কোনো সময় ম্যাচে ফিরে আসবে স্বাগতিক দল।
পরের মিনিটে ক্রসবার কাঁপালো কিংসলের শট। আবদুল্লার ফ্রিকিক থেকে বলে পেয়ে শট নিয়েছিলেন মোহামেডান থেকে ধারে আনা সাইফের এ নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়বারের মতো আফসোস সাইফের ডাগআউটে।
পরের মিনিটে ইংলিশ ফরোয়ার্ড শেরিংহামের শট গোললাইন থেকে প্রতিহত করেন টিসি স্পোর্টসের এক ডিফেন্ডার। দুর্ভাগ্যের শেষটাও এলো ৮২ মিনিটে। এবারও সেই কিংসলে। গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে তিনি ক্রসবারে বল লাগিয়ে নষ্ট করেন শেষ সুযোগ। ক্রসবার দু:খ নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
আপনার মতামত লিখুন :