শিরোনাম
◈ রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা ◈ নারায়ণগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার ◈ রাজধানীতে যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না ◈ টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড: ২৬১ তাড়া করে জিতল পাঞ্জাব ◈ আজ শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  ◈ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ◈ খিলগাঁওয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু ◈ ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ চুয়েট: সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ফের আন্দোলনের ডাক শিক্ষার্থীদের  ◈ দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান  ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫৫ সকাল
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শুধু পাঠ্যপুস্তকে নয়, পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতি আছে

রাজেকুজ্জামান রতন : পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ ও সরবরাহের ২০টি ধাপের ১৬টি ধাপেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক নিয়ে এই অভিযোগটি দীর্ঘদিনের। এই অভিযোগ শুধু অভিযোগ নয়, এটা এখন একটা প্রমাণিত সত্যরূপে উপস্থাপিত হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক টেন্ডার করা থেকে শুরু করে, ছাপানো, বিতরণ করা, এমন কি বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের পরে সেটাকে আবার কালোবাজারে বিক্রি কারা হয়। সবকিছুই আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। এর সাথে ভয়াবহ যে বিষয়টা, এটা শুধু দুর্নীতি নয়, বিষয়বস্তু নিয়েও শিশুকিশোরদের মনোজগতের মধ্যে কিভাবে সাম্প্রদায়িক মনোভাব ঢুকাবে তার চেষ্টা চলছে। অথবা যুক্তিহীন মানসিকতার একটা বিস্তার ঘটানোর চেষ্টা দেখছি ।

 

টিআইবির রিপোর্টের মধ্য দিয়ে যে ঘটনাটি ঘটছে, তারই একটি তথ্য বা উদাহরণ সামনে এসেছে। বাস্তবে ঘটনাগুলো ঘটেই যাচ্ছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের শিক্ষা বিভাগটিকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ, কলুষিত করার যে প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরে চলছে, এটা তারই একটা প্রতিক্রিয়াগত বৈশিষ্ট্য। ফলে পাঠ্যপুস্তক নির্ধারণ থেকে শুরু করে, বিষয়বস্তু নির্ধারণ, ছাপানো, বিতরণ, মনিটরিং সমস্ত কিছুতেই দুর্নীতি আছে। আরও একটি ভয়াবহ দুর্নীতি আছে, তা হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের বদলি, প্রমোশন, এমনকি শিক্ষকের রিটায়ার্ডমেন্টের পরে তাদের যে রিটায়ার্ডমেন্ট বেনিফিট পাওয়া সব কিছুতেই দুর্নীতি হয়। মোটকথা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা ব্যবস্থাটার মধ্যে প্রচ- দুর্নীতি হয়। আমি মনে করি, এটা শুধু পাঠ্যপুস্তকের ক্ষেত্রে নয়, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে দুর্নীতি আছে, তা শুধু উদঘাটন নয়, দুর্নীতিকে দূর করা দরকার। সমাজের মধ্যে যে একটা ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে হবে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক্ষেত্রে ভূমিকা নিতে হবে।

 

সরকার পক্ষ যদি দলীয় কর্মীদের ব্যবসা-বাণিজ্য করার ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেছে নেয়, তাহলে এই দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে টেন্ডারবাজি আছে, তা বন্ধ করতে হবে। আর প্রতিষ্ঠানের, শিক্ষকের, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকদের জবাবদিহিতা থাকতে হবে। এই দুর্নীতিকে দূর করার জন্য একটা উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল থাকতে হবে। তারা যেন দুর্নীতির কারণ উদঘাটিত করতে পারে। দুর্নীতি দূর করতে পারে। তাহলে একটা ভাল ফলাফল আসবে। আর এই কাজটা খুব দ্রুত করা দরকার।

পরিচিতি : কলামিস্ট ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাসদ
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়