সুজন কৈরী: [২] আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশজুড়ে এটি অন্যতম একটি বড় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
[৩] নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নানামুখী পরিকল্পনা করার কথা জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সংঘর্ষে জড়ালে কোনো পক্ষকেই ছাড় দেওয়া হবে না। যাদের বিরুদ্ধেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নের অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[৪] পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যেসব এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই এলাকাগুলোতে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করছেন, নির্বাচনি মাঠে কোন প্রার্থীর কত সমর্থক কাজ করছেন, সমর্থকদের মধ্যে পুরোনো মামলার আসামি রয়েছেন কি না, বিরোধী দলের যে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলা রয়েছে কি না, সহিংসতায় কারা মদদ দিতে পারে এবং তাদের টাকার উৎস কী, এসব তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
[৫] ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সংশ্লিষ্ট জেলার এসপিরা প্রার্থীদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছেন। আবার প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নিজেদের প্রচার-প্রচারণা যাতে অবাধে সম্পন্ন করতে পারেন, এ জন্য জেলার এসপিদের কাছে আবেদন করেছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার এসপিরা তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করার পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণার সময় অধিক নিরাপত্তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
[৬] পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন, অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে নানামুখী ছক আঁকা হয়েছে। আমরা সেই ছক অনুযায়ী কাজ করছি। এবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
[৭] নীলফামারী জেলার এসপি গোলাম সবুর বলেন, প্রথম ধাপে নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছি। মাঠপর্যায়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসকে/এসবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :