শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২৪, ০৮:১৯ রাত
আপডেট : ১৩ মে, ২০২৪, ০৮:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রতিমন্ত্রীর নামে সভা ডেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা আওয়ামী লীগ সভাপতির

আবু হাসাদ, রাজশাহী: [২] রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারার নামে সভা ডেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম। 

[৩] শনিবার রাতে পুঠিয়ার তাজ কমিনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এঘটনায় রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম হিরা বাচ্চু।

[৪] শনিবার রাতে পুঠিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে সভা ডাকেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম। এসভায় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম ফারুক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি এবং ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। 

[৫] সভায় হ্যান্ডমাইকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক- পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারার এমপির নির্দেশে এই সভা ডাকা হয়েছে। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন তার সমর্থিত প্রার্থী আব্দুস সামাদ মোল্লাকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে কাজ করতে। তাই পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আমরা আব্দুস সামাদ মোল্লাকে ঘোষণা করছি। আমরা সবাই তার জন্য ভোট করবো। তিনিই আমাদের আওয়ামী লীগের প্রার্থী।’

[৬] উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সামাদ মোল্লা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদকের (পল্লী উন্নয়ন সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা) নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগ এই সভা ডেকেছেন। এই মিটিংয়ে আমাকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করায় আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। শেখ হাসিনা সরকারের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আমাদের একমাত্র নেতা আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা মহোদয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের সকলের প্রার্থী। আপনাদের দোয়া চাই। এঘটনার পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

[৭] এঘটনার পর পরই পুঠিয়া ত্রিমোহনী মোড়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জিএম হিরা বাচ্চু একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এতে তিনি বলেন, আজ থেকে তিন বছর আগে সিজার অপারেশন করার মত করে শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাকের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি হয়নি। এই কমিটি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যেখানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন যে কোন ভাবেই মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না, কোন প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারবেন না। 

[৮] এঘটনার পর জিএম হিরা বাচ্চু সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রাথী আব্দুস সামাদ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারার ছবি ব্যানার ও ফেস্টুনে ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে এলাকার ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন করে প্রতিমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম সভা ডেকে আব্দুস সামাদকে প্রতিমন্ত্রীর সমর্থিত প্রার্থী বলে ঘোষণা করেন। গত ৫ মে অভিযোগ দেয়ার পরও প্রার্থী আব্দুস সামাদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর ছবি যুক্ত করে ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো আছে।

[৯] এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় আমাকে ফোন করে বলেছেন আমার চয়েজের প্রার্থী সামাদ মোল্লা। তার পক্ষে খাটেন। তখন আমরা মিটিং করে ঘোষণা করেছি। এটা আমাদের ব্যক্তিগত চয়েজের প্রার্থী।’ 

[১০] পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমাকে ডাকা হয়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগ কাউকে সমর্থন দেয়নি। এটা প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারার সমর্থন। তিনিই সভাপতিকে দিয়ে মিটিং করিয়ে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন।’  

[১১] এব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সামাদকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে বারবার কেটে দেন।

[১২] এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়