শিরোনাম
◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ মার্কিন কৌশলগত স্বার্থের ক্ষতি করবে ◈ সোহান ও অঙ্কনের সেঞ্চুরি, নিউ‌জিল‌্যা‌ন্ডের বিরু‌দ্ধে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ এ’ দল ◈ ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত’ ◈ যে কারণে ভারত বনাম পাকিস্তান যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন যুদ্ধও! ◈ জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তাব ইসলামী আন্দোলনের ◈ ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: সীমান্ত জেলার পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির ◈ ভারতের হামলায় মাসুদ আজহার পরিবারের ১০ সদস্য নিহত: বিবিসি ◈ ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে ব্রিফ করা কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি, যা জানাগেল ◈ অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ছাড়ালো ১৬ লাখ

প্রকাশিত : ০৫ মে, ২০২৫, ০১:৩৬ দুপুর
আপডেট : ০৭ মে, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাকরি ছেড়ে এক দম্পতির ফ্রিল্যান্সিং জয়ের গল্প 

সাইফ নাসির : সারাদিন ঘরে বসে কম্পিউটার টেপাটিপি করে মানেই বেকার ! এমন ফ্রিল্যান্সিং ট্যাবু থেকে এখনও মুক্ত হতে পারেনি আমাদের সমাজ। তাই ফ্রিল্যান্সিং করে যতোই টাকা কামাক, বিয়ের আগে ওই ছেলেকে একটা স্থায়ী চাকরি দেয়ার চেষ্টা মামা-চাচারা করতেই থাকে। 

এবার এই ধারণাটি আরেকটু ভেঙ্গে দিলেন ঢাকার এক দম্পতি। স্বামী স্ত্রী দুজনেরই চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন পুরোদমে করছেন ফ্রিল্যান্সিং। ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে গড়ে উঠেছে এক দম্পতির স্বপ্ন। জুবায়ের এবং জান্নাতাতুন নাইম—উভয়েই স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন। সন্তান ও সংসার নিয়ে এক সাধারণ জীবন কাটালেও, তাদের ইচ্ছাশক্তি ছিল অসাধারণ। সেই ইচ্ছাশক্তিই আজ তাদের এনে দিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং জগতে স্বীকৃতি, স্থিতিশীল আয় এবং আত্মনির্ভরশীল জীবন।


ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে জুবায়েরের গ্রাফিক ডিজাইন ও ফ্রিল্যান্সিং কোর্স সম্পন্ন করে  ফ্রিল্যান্সিং এ যাত্রা শুরু করেছিলেন।  কিন্তু বাস্তবতা ছিল কঠিন। কোন ইনকাম করতে না পেরে বাধ্য হয়ে ফুল টাইম চাকরিতে প্রবেশ করেন। তবে মনের কোনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি আগ্রহ জিইয়ে রেখেছিলেন।


একদিন হঠাৎ ফেসবুকে চোখে পড়ে একটি বিজ্ঞাপন—ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফ্রিল্যান্সিং কোর্স। যোগাযোগ করেন, বিশ্বাস রাখেন এবং সাহসিকতা দেখিয়ে চাকরি ছেড়ে ভর্তি হন। এখানেই ঘটে মোড় ঘোরানো পরিবর্তন। সঠিক গাইডলাইন, দক্ষ মেন্টর এবং নিয়মিত সাপোর্টের কারণে কোর্স চলাকালীনই তিনি প্রথম আয় শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি মার্কেটপ্লেসে হয়ে ওঠেন টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার।


জুবায়েরের মনে হতো—“আমি যদি না থাকি, আমার পরিবার কিভাবে চলবে?” এই ভাবনা থেকেই তিনি স্ত্রী জান্নাতাতুন নাইমকে শেখাতে শুরু করেন ডিজিটাল স্কিল। সন্তান সামলে ঘরে বসেই নাইম শুরু করেন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা। কিছুদিনের মধ্যেই তিনিও হয়ে ওঠেন সফল ফ্রিল্যান্সার, আয় শুরু করেন প্রতি মাসে ভালো অংকের টাকা।

আজ এই দম্পতি শুধু নিজেরাই নয়, অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। তারা প্রমাণ করেছেন—সঠিক দিকনির্দেশনা, আন্তরিকতা এবং একে অপরের পাশে থাকার মানসিকতা থাকলে ঘরে বসেও আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।

তাদের গল্প কেবল সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এবং দম্পতিদের জন্য একটি বাস্তব উদাহরণ—“স্বপ্ন দেখো, শিখো, এগিয়ে চলো।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়