স্পোর্টস ডেস্ক: নারী ফুটবলারদের পারফরমেন্সে তুষ্ট বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীরা। শক্তিশালী মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলেছে তারা। অনেক লড়াই করে একমাত্র গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে সেরে নিতে ঢাকায় এসেছে আজারবাইজান। অন্যদিকে সী গেমসের আগে নিজেদের প্রস্তুতি সারতে চায় মালয়েশিয়া। আর বাংলাদেশের লক্ষ্য উইমেন্স এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি। তিন দলের লক্ষ্য একই।
এশিয়ান কাপে বড় দলগুলোর বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে কতটা লড়াই করতে পারবে বাংলাদেশ, সেটিই বাজিয়ে দেখতে চান কোচ। তাইতো শক্তিশালী দুই দল নিয়েই এই সিরিজের আয়োজন। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে লড়াইটা করলো ঠিকই, কিন্তু ফলাফলটা পক্ষে এলো না।
শক্তিমত্তা কিংবা র্যাঙ্কিং, সবকিছুতেই মালয়েশিয়ার চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে সেরে নিয়ে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হেরে যায় কোচ পিটার বাটলারের দল।
অক্টোবরে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছেন কোচ পিটার বাটলার। সেই ম্যাচের ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন ও ডিফেন্ডার নবিরণ খাতুনকে আজকের একাদশে রাখা হয়নি। তাদের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন নবাগত সুলতানা এবং মিডফিল্ডার মুনকি আক্তার।
শুধু খেলোয়াড় পরিবর্তনই নয়, কৌশলগতভাবেও দলকে ঢেলে সাজিয়েছেন বাটলার। আগের ম্যাচে পাঁচজন ডিফেন্ডার নিয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেললেও, আজ তার দল মাঠে নেমেছে ৪-৩-৩ ফরমেশনে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। সপ্তম মিনিটে গোছালো আক্রমণে দারুণ সুযোগ তৈরি হয়। লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষিক্ত সুলতানার রক্ষণচেরা পাস ধরে ডান দিক থেকে বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান শামসুন্নাহার জুনিয়র, ছুটে গিয়ে লাফিয়ে হেড করার চেষ্টা করেন মনিকা চাকমা। কিন্তু বলের নাগাল পাননি তিনি।
একটু পর পায়ের ব্যথায় খুড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায় মনিকাকে। তার চোখে-মুখেও ছিল অস্বস্তির ছাপ। তবে দুটি উইমেন’স সাফ জয়ী এই মিডফিল্ডার খেলা চালিয়ে যান।
২৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে বাংলাদেশের জালে বল পাঠায় সফরকারীরা। সতীর্থের লং পাস নুর আইনসাহ বিনতে মুরাদ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় তার পাশেই ছিলেন ডিফেন্ডার কোহাতি কিসকু। একই সময়ে রূপনা চাকমা পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসায় দুজনের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। সেই সুযোগে রূপনাকে ফাঁকি দিয়ে বাম পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন নুর।
দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় গোলের জন্য মরিয়া হলেও সমতায় ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও আর কোনো গোলের দেখা পায়নি দু’দল।