শিরোনাম
◈ দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু: ট্রাভেল পাসের আবেদন তারেক রহমানের ◈ হাসিনার অনুসারীদের জামিন বিতর্কে আইন উপদেষ্টার উদ্বেগ প্রকাশ ◈ প্রার্থীদের অস্ত্রের ঝুঁকি, নিরপেক্ষ প্রশাসন নিয়ে চ্যালেঞ্জ ইসির ◈ কূটনীতির রীতিনীতি কি উপেক্ষা করছেন প্রণয় ভার্মা ◈ ওসমান হাদির অস্ত্রোপচার হবে সিঙ্গাপুরে, অনুমতি দিয়েছে পরিবার ◈ দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করলো সরকার ◈ দুর্বল প্রতিপ‌ক্ষের বিরু‌দ্ধে  লড়াই ক‌রে জিত‌লো ‌রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ মেয়েকে নিয়ে ২৫ তারিখ সকাল ১১টায় ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান ◈ নির্বাচন নিয়ে ভারতের 'নসিহতে' বাংলাদেশের তীব্র প্রতিক্রিয়া কেন? ◈ শেষ স্ট্যাটাসে ওসমান হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:২৩ দুপুর
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

কনিষ্ঠতম ভারতীয় দাবাড়ু হিসাবে কীর্তি গড়লো দিল্লির ৫ বছ‌রের কন্যা আ‌রিণী 

স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় দাবায় নজির গড়ল পাঁচ বছরের আরিণী লাহোটী। কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসাবে দাবার তিন ফরম্যাটেই ফিডে রেটিং পেল দিল্লির কন্যা। ক্লাসিক্যাল, র‌্যাপিড ও ব্লিৎজ়, তিন ফরম্যাটেই রেটিং পেয়েছে আরিণী। ক্লাসিক্যালে ১৫৫৩, র‌্যাপিডে ১৫৫০ ও ব্লিৎজ়ে ১৪৯৮ পয়েন্ট পেয়েছে সে। এত কম বয়সে ভারতের আর কোনও দাবাড়ুর তিন ফরম্যাটে রেটিং নেই।

২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জন্ম আরিণীর। ২০১৯ সাল বা তার পরে জন্ম নেওয়া ছেলে ও মেয়ে দাবাড়ুদের মধ্যে আরিণীর রেটিং ভারতে সবচেয়ে বেশি। এই বয়সের দাবাড়ুদের মধ্যে ইভান দুবে, নিমালান ধরনিপাথি, আওয়েস খান ও বাংলার অনীশ সরকার ক্লাসিক্যাল ও র‌্যাপিড ফরম্যাটে ফিডে রেটিং পেয়েছে। কিন্তু ব্লিৎজ়ে রেটিং পায়নি তারা। একমাত্র আরিণী সেই কীর্তি করেছে। --আনন্দবাজার

আরিণীর বাবা সুরেন্দ্র লাহোটীই তার কোচ। তিনি ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে বলেন, “ঘরেই ওকে দাবা শিখিয়েছি। তিনটে ফরম্যাটেই ওকে তৈরি করেছি। তার ফল দেখতে পাচ্ছি। তিনটে ফরম্যাটেই ও ফিডে রেডিং পেয়েছে।”

কিন্তু তিন ফরম্যাটে সময়ের হিসাব তিন রকম। ক্লাসিক্যাল ফরম্যাটে ৯০ মিনিটের পর আরও ৪০ মিনিট যুক্ত হয়। 

র‌্যাপিড ফরম্যাটে ১৫ মিনিটের খেলা। প্রতি চালের সঙ্গে ১০ সেকেন্ড করে যুক্ত হয়। ব্লিৎজ় ফরম্যাটে তিন মিনিটের খেলা। প্রতি চালের সঙ্গে ২ সেকেন্ড করে যুক্ত হয়। তা হলে কী ভাবে সময়ের হিসাব রাখে আরিণী?

সুরেন্দ্র বলেন, ওকে আমরা র‌্যাপিড ও ব্লিৎজ়ের জন্য এক ভাবেই তৈরি করেছি। একই সময় ধরে ও খেলে। তাতে দু’রকম প্রতিযোগিতার জন্যই তৈরি হতে পারে। স্থানীয় স্তরেও ও খেলে। রাজ্য ও জাতীয় স্তরেও খেলে। কোথাও না বলে না। দাবাটা ও ভালবাসে। তার ফল দেখতে পাচ্ছি।

দিল্লিতে সুরেন্দ্রের একটি দাবা অ্যাকাডেমি রয়েছে। সেখানে অনেকে শেখে। কিন্তু কন্যাকে বাড়িতেই শেখান তিনি। সুরেন্দ্র বলেন, “লকডাউনের সময় ও আমাকে অনলাইনে দাবা খেলতে দেখেছিল। 

আমার পাশে চুপ করে বসে থাকত। তার পরে নিজেই খেলা শুরু করল। ওর উৎসাহ দেখে ওকে শেখাতে শুরু করলাম। অল্প দিনের মধ্যেই ও খেলাটা বুঝে গেল। এত তাড়াতাড়ি এই জায়গায় এসেছে। আমরা চাই ও দেশের কনিষ্ঠতম ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও গ্র্যান্ড মাস্টার হোক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়