স্পোর্টস ডেস্ক : দুই দিন ধরে ব্যাট করে বিশাল সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। সে পথে আছে শ্রীলঙ্কাও। তবে পার্থক্য রান তোলার গতিতে। ওভারপ্রতি প্রায় ৪ রান করে তুলে বাংলাদেশের প্রায় পাঁচশ ছোঁয়া ইনিংসের দুর্দান্ত জবাব দিয়েছে স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার গলে পাতুম নিসাঙ্কার ১৮৭ রানের সুবাদে ৪ উইকেটে ৩৬৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে শ্রীলঙ্কা। এখনও তারা পিছিয়ে আছে ১২৭ রানে। -- অলআউট স্পোর্টস
এর আগে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশ অলআউট হয় ৪৯৫ রানে। হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার শেষ উইকেট জুটি থেকে দলের খাতায় যোগ হয় ১১ রান। কোনো রান না করা নাহিদকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ করেন আসিথা ফার্নন্দো।
দুই দিন ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে নামা দুই লঙ্কান পাতুম নিসাঙ্কা ও লাহিরু উদারা শুরুতে হাসান-নাহিদের গতির কাছে কিছুটা পরাস্ত হলেও দ্রুতই নিজেদের সামলিয়ে নেন। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালাতে শুরু করেন তারা। তবে এই জুটিকে খুব বড় হতে দেননি তাইজুল ইসলাম। ত্রয়োদশ ওভারের প্রথম বলে ফিরতি ক্যাচে উদারাকে (২৯) তুলে নিয়ে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
তবে এরপর নিসাঙ্কা ও দিনেশ চান্দিমালের সামনে তেমন কোনো সুবিধা করতে পারেনি বোলাররা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেশ স্বাচ্ছন্দেই রান তুলতে থাকেন তারা। মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পরপর ফিফটি তুলে নেন নিসাঙ্কা। এরপর আরও আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে ১৩৬ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দেশের মাটিতে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি।
এরপর ফিফটি তুলে নেন চান্দিমালও। বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের এটি একাদশ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস, যার মধ্যে পাঁচবারই তিন অঙ্ক পূর্ণ করেন তিনি। তবে এদিন তাকে ইনিংস আর বড় করতে দেননি নাঈম হাসান। ৫৪ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ১৫৭ রানের জুটি ভাঙেন এই অফ-স্পিনার।
ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ব্যাটিংয়ে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে গার্ড অব অনার জানায় বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। নিসাঙ্কার সঙ্গে বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন তিনিও। এই জুটি ভাঙতে মরিয়া হয়ে আরও একবার পার্ট-টাইম বোলার মুমিনুল হকের হাতে বল তুলে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলও আসে দ্রুত। ম্যাথিউসকে ৩৯ রানে কটবিহাইন্ড করিয়ে ৮৯ রানের জুটি ভাঙেন মুমিনুল।
দিনের শেষ বেলায় দ্বিতীয় নতুন বল হাতে নিয়েই বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন হাসান। দারুণ এক ইনসুইংয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগুতে থাকা নিসাঙ্কাকে বোল্ড করেন তিনি। এরপর আর কোনো বিপদ ছাড়াই দিনের বাকিটা সময় পার করেন কামিন্দু মেন্ডিস (৩৭*) ও ধঞ্জয়া ডি সিলভা (১৭*)।