মনিরুল ইসলাম: “যারা দিনের বেলায় বিএনপি করেছেন আর রাতের বেলায় আওয়ামী লীগ করেছেন, এমন লোকদের দলের সদস্যপদ নবায়ন করা যাবে না”—সাফ জানিয়ে দিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে উত্তরা পূর্ব ও উত্তরখানে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কঠোর অবস্থানের কথা জানান।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কারও ছবি থাকলে তার সদস্যপদ নবায়ন করা হবে না। ১৭ বছর ধরে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন, যারা নিপীড়িত-ত্যাগী নেতা-কর্মী, তারাই অগ্রাধিকার পাবেন।”
আমিনুল হক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “সতর্ক থাকবেন—কোনো আওয়ামী লীগ যেন সদস্য ফরম নবায়ন করতে না পারে। আমরা এমন পরিচ্ছন্ন, যোগ্য ও ভালো মানুষদেরই বাছাই করবো যারা রাজনীতির সঠিক ধারা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।”
লন্ডন বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। তাই কিছু দল এখন বিভিন্ন বৈঠক বর্জন করছে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তায় অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। তাই সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
প্রধান বক্তা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান বলেন, “যারা দলের দুর্দিনে পাশে ছিল না এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, তাদের সদস্যপদ নবায়নের আওতায় আনা যাবে না।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী, মোতালেব হোসেন রতন, আব্দুস সালাম সরকার, রফিকুল ইসলাম খান, মনিরুল ইসলাম রাহিমী, আহসান হাবীব মোল্লা, তাসলিমা রিতা, সাবেক কাউন্সিলর ইলোরা পারভীন, মো. রাশেদ আলম, মো. শাহ আলম, মনির হাসান ভূঁইয়া, শহিদুল ইসলাম সুমন, সুলতান মাহমুদ বকুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম বেপারি ও অনেকে।
পরে পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশন বাজারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে অংশ নেন আমিনুল হক।