শিরোনাম
◈ হংকং-এ আবাসিক কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুন, প্রাণহানি ১৩, চারদিকে আতঙ্ক! (ভিডিও) ◈ শক্তিধর মালয়েশিয়ার বিরু‌দ্ধে লড়াই করে হারলো বাংলাদেশের মে‌য়েরা   ◈ নিউইয়র্কে মূলধারার রাজনীতিতে সাফল্যের স্বীকৃতি, মেয়র মামদানির ট্রানজিশন টিমে ১২ বাংলাদেশি   ◈ জাতীয় দল নির্বাচক‌দের প্রতি গুরুতর অ‌ভি‌যোগ আন‌লেন অধিনায়ক লিটন দাস ◈ মানহানিকর বক্তব্য প্রচার বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজের বিবৃতি ◈ হাসিনাকে ফেরাতে বাংলাদেশের অনুরোধ পর্যালোচনা করছে ভারত ◈ পে স্কেল নিয়ে নতুন তথ্য, গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা ◈ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিনটি বড় বাধা দেখছেন পর্যবেক্ষকরা ◈ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই, শ্রীলঙ্কা‌কে ৫-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ ‘মায়ের ডাক’খ্যাত বিএনপির প্রার্থী তুলির বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:০৫ রাত
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে পাওয়া সোনা শুধু শেখ হাসিনার নয়, পরিবারের সদস্যদের নামেও: দুদক

অগ্রণী ব্যাংকের দুটি লকার খুলে যে ৮৩২ ভরি (৯ হাজার ৭০৭ দশমিক ১৬ গ্রাম) সোনা পাওয়া গেছে, সেগুলো ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একার নয়। শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ পরিবারের সদস্যদের নামে ওই সব সোনা জমা রাখা হয়েছিল নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে। এসব সোনার মধ্যে স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি সোনার নৌকা ও হরিণ রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা এসব সোনা বৈধ না অবৈধ, সেটা যাচাই-বাছাই করা শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনার নামে থাকা দুটি লকার খুলে গতকাল ৮৩২ ভরি সোনা পাওয়া যায়। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে আজ কথা বললেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে থাকা সংস্থা দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ২০০৭ সালে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছিলেন, তাতে পূবালী ব্যাংকে একটি এবং অগ্রণী ব্যাংকে দুটি লকার থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেটা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান গত ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে লকার খোলার আবেদন করেন। মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অনুসন্ধান তদারক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোনীত একজন সোনা বিশেষজ্ঞ, এনবিআরের কর গোয়েন্দা ও সিআইসি (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল) মনোনীত দুজন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট শাখার ব্যাংক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লকার তিনটি খোলার আদেশ দেন। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার তিনটি লকার খুলে মালামালের ‘ইনভেন্টরি’ (তালিকা) তৈরি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের জিম্মায় রাখা হয়।

দুদকের সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ব্যাংকের ভল্টে থাকা নথি যাচাই করে শেখ হাসিনা, তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ও বোন শেখ রেহানার নামে থাকা ৮৩২ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় একটি লকার খুলে ৫ হাজার ৯২৩ দশমিক ৬০ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। ওই ব্যাংকেই শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহেনার নামে থাকা আরেকটি লকার খুলে ৪ হাজার ৭৮৩ দশমিক ৫৬ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। আর পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় থাকা শেখ হাসিনার নামে থাকা একটি লকার খুলে একটি খালি ছোট পাটের ব্যাগ পাওয়া গেছে।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘লকারে রাখা চিরকুটের বর্ণনা অনুযায়ী স্বর্ণালংকার শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা সিদ্দিকী, তাঁর ছেলে ববির (রাদওয়ান মুজিব) মর্মে ধারণা করা যাচ্ছে।’

সূত্র: প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়