ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই) বলেছেন, “নীতির পরিবর্তন না করে কেবল নেতা পরিবর্তনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি। তাই সংস্কার-বিচার ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঢাকার ঢাকা-৫ আসনে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনই মুক্তির পথ নয়। বাংলাদেশে এর আগেও বারোবার জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নতুন অপরাধপ্রবণ নেতা-কর্মী পেয়েছে। মাস্তান-চাঁদাবাজরা ক্ষমতায় এলে মুক্তি আসবে না। আমি নিজে জুলাই আন্দোলনে স্বশরীরে মাঠে ছিলাম। বন্দুক-কামানের সামনে লড়েছি দেশ থেকে জুলুম, ধর্ষণ, হত্যা ও রাহাজানি বন্ধের জন্য। কিন্তু জুলাইয়ের পরে সেগুলোই আরও বিভৎস রূপে ফিরে এসেছে। আমরা এটা মেনে নেব না।”
তিনি হাতপাখা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “হাতপাখার জয় মানে গরীব, মেহনতি মানুষের জয়। অসহায় মানুষের সহায়। ক্ষুধাতুর মানুষের আহারের নিশ্চয়তা। ইসলাম ক্ষমতায় এলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সবাই শান্তিতে থাকবে। বস্ত্রহীন বস্ত্র পাবে, বিদেশে টাকা পাচার হবে না।”
শায়েখে চরমোনাই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, “অনেক মার্কা দেখেছেন। এবার আমাদের পরীক্ষা করে দেখুন। যদি আমরা কথা রাখতে না পারি, আর কোনোদিন আপনাদের সামনে আসব না।”
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন মনোনীত ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এম এইচ মোস্তফা। তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এই যাত্রাবাড়ি-ডেমরার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দিনেও মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আমরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করব।”
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকি, সহ-প্রচার সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, যুব নেতা মানসুর আহমাদ সাকি, ছাত্র নেতা মাহবুবুর রহমান, হাজি ইব্রাহিম ও আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এম এইচ মোস্তফাকে ঢাকা-৫ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন শায়েখে চরমোনাই।