নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাইক্রোবাসে তুলে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি শফিকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে র্যাব-১১, সদর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান-১ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলো—শফিক (২৪) ও রাশেদ (২২)। তারা মূলত বরিশালের মুলাদী উপজেলার উত্তর গাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা, বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডির জিগাতলা এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণীর মায়ের কাছে আসামিদের ৪ লাখ টাকা পাওনা ছিল। সেই টাকার বিনিময়ে তারা একসময় একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছিল। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধের পর স্ট্যাম্পটি ফেরত চাইলে আসামিরা নানা অজুহাতে তা ফেরত দিচ্ছিল না।
ঘটনার দিন, ৭ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে আসামিরা ভুক্তভোগীকে ফোনে জানায়, তারা স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্পটি ফিরিয়ে দেবে।
কথা অনুযায়ী তরুণী সাইনবোর্ড এলাকায় গেলে আসামিদের একজন বলে দলিলটি তার বোনের বাসায় আছে, সেখান থেকে আনতে হবে। সরল বিশ্বাসে তরুণী মাইক্রোবাসে উঠে পড়েন। পরে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ির দশপাইপ এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাসটি ফাঁকা স্থানে থামিয়ে আসামিরা প্রথমে তরুণীকে যৌন হয়রানি করে এবং পরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ৯ নভেম্বর ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করে।
র্যাব-১১ অপারেশন অফিসার গোলাম মোর্শেদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ