নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে প্রচারণার কাজে ড্রোন ব্যবহারে এবং বিদেশে প্রচারণা চালানোতেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে গেজেট আকারে প্রকাশিত নতুন বিধিমালায় এই সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। এই বিধিমালা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং ২০০৮ সালের আচরণবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে।
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, পরিবেশ দূষণ রোধ ও নির্বাচনী ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পোস্টার ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রার্থীরা চাইলে সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড, ব্যানার বা ফেস্টুন ব্যবহার করতে পারবেন, এর বেশি নয়।
ইসি জানিয়েছে, ‘ড্রোন ব্যবহার ও বিদেশে প্রচারণা কার্যক্রমে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।’
বিধিমালায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক বা অসৎ প্রচারণা চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রার্থীদের এখন থেকে আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকারনামা ইসিতে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো সব প্রার্থীকে একই মঞ্চে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করতে হবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বিধিমালা লঙ্ঘন করলে কঠোর শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেও দেড় লাখ টাকা জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গুরুতর লঙ্ঘনের ঘটনায় তদন্ত শেষে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতাও থাকবে ইসির হাতে।