শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১০:৪৩ রাত
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

ফ্যাসিবাদ আন্দোলনে আমার মাও এক সন্তানকে হারিয়েছেন : তারেক রহমান

মনিরুল ইসলাম: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন,  ফ্যাসিবাদ আন্দোলনে আমার মাও এক সন্তানকে হারিয়েছেন মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় অনেক মা তার প্রিয় সন্তান হারিয়েছেন। আমার মা-ও (খালেদা জিয়া) তার এক সন্তানকে (আরাফাত রহমান কোকো) হারিয়েছেন আপনাদেরই মতো।

বহু স্ত্রী তার প্রিয়তম স্বামীকে হারিয়েছেন, বোন তার ভাইকে হারিয়েছেন, অনেক মা বহুভাবে নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছেন। অনেক পরিবারের পারিবারিক বন্ধন ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ অবসানের পর আমাদের সবার সামনে শিশু-নারী-পুরুষ-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি মানবিক বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ সামনে এসেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শহীদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনের জন্য আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামীদিন নারীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘আসুন, নারী-পুরুষ-শিশু, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য শহীদদের কাঙ্ক্ষিত একটি ইনসাফভিত্তিক গণতান্ত্রিক নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি। সবার জন্য একটি নিরাপদ একটি গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চলমান অভিযাত্রায় অতীতের মতো আগামী দিনেও আমরা আমাদের মা-বোনদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সমর্থন আশা করি দৃঢ়ভাবে।’

নারীদের উন্নয়নে জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার নানা পদক্ষেপের কথা তুলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথমবারের মতো একটি পৃথক নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন। মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া নারী শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ চালু করেছিলেন।

বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের অর্ধেক সংখ্যক নারীকে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির মূল ধারার বাইরে রেখে কখনোই আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন করতে পারব না, নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়। নারী শক্তিকে কর্মপরিকল্পনার বাইরে রেখে শুধু বাংলাদেশ নয়, কখনোই কোনো রাষ্ট্রই এগিয়ে যেতে পারে না। সে কারণে নারী শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের অর্ধেক সংখ্যক নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে বিএনপি আগামী দিনের সকল কর্মপরিকল্পনাগুলোকে সাজিয়েছে বা গ্রহণ করছে।’

বিশ্বায়নের এই সময়ে নারীদের জন্য শিক্ষা ও চাকরি বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশে নারীদের জন্য শিক্ষা-চাকরি-ব্যবসাসহ সকল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত। শুধু নারী পুরুষ ভেদাভেদ না করে সবাইকে শিক্ষা-দীক্ষায় কমপক্ষে কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন অত্যন্তভাবে জরুরি। যদি, আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

আমি মনে করি, বিশেষ করে নারীদের শিক্ষাদানে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা গেলে নারীর প্রতি বৈষম্য লোকের পাশাপাশি অর্থনৈতিক টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে পারিবারিক সহিংসতাও রোধ করবে বা রোধ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। সেই লক্ষ্যেই বিএনপির স্লোগান ক্ষমতায়িত নারী শক্তি, পরিবারের মুক্তি। এ কারণেই বিএনপির নীতি মানবিক মূল্যবোধ উজ্জীবিত দক্ষ জনশক্তি তৈরির রাজনীতি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির রাজনীতি।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নারীর অবদান শীর্ষক’ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তারেক রহমান। আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

অনুষ্ঠানে ফ্যাসিবাদ আন্দোলনে নারীদের অবদানের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং পরে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সন্মাননা মেডেল প্রদান করে আয়োজন কমিটি। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলাম, তাহসিনা রুশদীর লুনা, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, শহীদ পরিবারের মধ্যে সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় টকশো উপস্থাপক হাসিনা আখতার বক্তব্য রাখেন।

এসময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, মহিলা দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মমতাজ আলোসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বায়নের এই সময়ে নারীদের জন্য শিক্ষা ও চাকরি বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশে নারীদের জন্য শিক্ষা-চাকরি-ব্যবসাসহ সকল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত। শুধু নারী পুরুষ ভেদাভেদ না করে সবাইকে শিক্ষা-দীক্ষায় কমপক্ষে কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন অত্যন্তভাবে জরুরি। যদি, আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

আমি মনে করি, বিশেষ করে নারীদের শিক্ষাদানে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা গেলে নারীর প্রতি বৈষম্য লোকের পাশাপাশি অর্থনৈতিক টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে পারিবারিক সহিংসতাও রোধ করবে বা রোধ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। সেই লক্ষ্যেই বিএনপির স্লোগান ক্ষমতায়িত নারী শক্তি, পরিবারের মুক্তি। এ কারণেই বিএনপির নীতি মানবিক মূল্যবোধ উজ্জীবিত দক্ষ জনশক্তি তৈরির রাজনীতি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির রাজনীতি।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়