শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন ◈ ডাকসুতে শিবিরের জয়—প্রচারণা, কৌশল নাকি জনপ্রিয়তা? ◈ জুলাই সনদ না মানলে প্রার্থিতা বাতিল- প্রস্তাব জামায়াতের ◈ ভয়াবহ সমুদ্রযাত্রা: ইতালির লাম্পেদুসায় পৌঁছেছে বাংলাদেশিসহ ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ◈ কাতারে ইসরায়েলি হামলা: পরাশক্তির মিত্র হয়েও বন্ধুহীন দোহা? ◈ মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা : জামায়াত নেতা আযাদ ◈ মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফরিদা পারভীন ◈ রিজার্ভ বেড়ে ৩০. ৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ◈ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫ সনাতন ধর্মাবলম্বী যোগ দিলেন জামায়াতে ◈ কাঠগড়ায় যে কারনে ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে ধমক দিলেন তাঁর স্ত্রীর

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০৩ রাত
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা : জামায়াত নেতা আযাদ

মুক্তিযুদ্ধ না মানলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা সবসময় বাংলাদেশের আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনেই রাজনীতি করে আসছি। স্বাধীনতার যুদ্ধ যে আমাদের জাতির অর্জন, তা আমরা বারবার বলেছি। বাংলাদেশকে মেনে নিয়েই সবাই রাজনীতি করছে, আমরাও তাই করি। সুতরাং অতীতের কথা টেনে আনার কোনো সুযোগ নেই। মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা।

এ সময় জুলাই সনদ নিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, বারবার ভুল পদক্ষেপ করলে জুলাই সনদ পুনরায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। তাহলে কি আমরা সারা জীবন এই সংকটে ভুগব? সারা জীবন রক্ত বা জীবন দিতে থাকব- এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

জুলাই সনদের আইনি যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা কি বারবার ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ তৈরি করার জন্য সংস্কার করছি? অবশ্যই নয়। সেজন্য ‘সংবিধান অর্ডার ২০২৫’ জারি করা হলে কোথাও চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকবে না, এবং এটি আইনগতভাবে এক শক্তিশালী অবস্থান হিসেবে থাকবে।

তিনি বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ৭-এ জনগণের পরম ইচ্ছার কথা বলা আছে। তার ভিত্তিতে যদি এই সংবিধান অর্ডারটি জারি হয়, এটি হবে সবচেয়ে শক্তিশালী। এরপর আমরা বলেছি, সরকার এটিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। অর্থাৎ শক্তির ওপর শক্তি, জোরের ওপর জোর, যদি এ নিয়ে আবার গণভোট হয়। সেক্ষেত্রে আর কোনো ছিদ্র বা উন্মুক্ত জায়গা থাকবে না। আইনি বা অন্য কোনোভাবে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকবে না। এ প্রস্তাবই আমরা দিয়েছি।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি সংক্রান্ত আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের ইসলামীর এই নেতা। তিনি বলেন, আমরা আগামীতে যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাচ্ছি, সেটি হবে সুষ্ঠু এবং ইতিহাসের সেরা নির্বাচন। সবই সম্ভব হবে যদি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিতে নির্বাচন হয়। আমরা ইতোমধ্যেই বলেছি, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়া উচিত। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরি করে সেই ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়