শিরোনাম
◈ নুর ইস্যুতে গণঅধিকার পরিষদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ সুপার ফোরে যেতে ◈ গত অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকারের ৫৬৮৯ কোটি টাকা সাশ্রয় ◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সেই সরকারের প্রতিচ্ছবি বর্তমান সরকারে দেখছি: জিএম কাদের

অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে পতিত শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেন শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের আয়নার প্রতিবিম্ব, প্রতিচ্ছবি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এমন মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির এক কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।

জি এম কাদের বলেন, ‘ওইটুকু ছাড়া ফ্যাসিবাদের চরিত্রে কোনো রকম পরিবর্তন আমরা দেখি না। প্রতিবিম্ব দেখছি, ফ্যাসিবাদী সরকার যাকে বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার বলেন, অত্যাচারী সরকার বলেন, বৈষম্যের সরকার বলেন, সেই সরকারের প্রতিচ্ছবি আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে দেখছি।’

এ বিষয়ে জি এম কাদের আরও বলেন, তখন (শেখ হাসিনার সময়ে) মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এসব বলে বৈষম্য সৃষ্টি, অত্যাচার, অনাচার করা হতো। বিভিন্ন গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো। আর অন্তর্বর্তী সরকার বলছে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাযুদ্ধের সবকিছু ছিল খারাপ, এগুলোকে বর্জন করতে হবে।

জাপার একাংশের এই চেয়ারম্যান বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের প্রত্যাশা ছিল গণতন্ত্রের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক একটি সরকার গঠন করা, যেখানে ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে না, কর্তৃত্ববাদী সরকার টিকতে পারবে না।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে জাতীয় পার্টি এবং দলটির নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছিল দাবি করে জি এম কাদের বলেন, ‘জুলাই থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় পার্টি আন্দোলনকারীদের সমর্থনে প্রতিদিন বক্তব্য দিয়েছে। এ কথা স্পষ্ট করে আজকে বলতে চাই। অনেকে বলছেন আমরা দোসর ছিলাম এবং আমাদের রাজনীতি করতে দেবেন না। কেন রাজনীতি করতে দেবেন না, সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার। উদ্দেশ্য একটাই, আমরা জনগণের মনের কথা সব সময় বলেছি।’ জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে জাতীয় পার্টির দুজন রংপুরে শহীদ হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

জি এম কাদের বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনের এমন পরিবেশ তৈরি করেছেন, যেখানে তাঁরা বিএনপি–জামায়াতকে বাইরে রেখেছিলেন বা তারা নির্বাচনে আসেনি। তিনি কিন্তু কোনো আইন করে কোনো দলকে বাদ দেননি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার যাদের বাদ দিতে চাচ্ছেন, তাদের আইন করে বাদ দিয়ে দিচ্ছেন।

জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনকেই গ্রহণযোগ্য করানো এখনো সম্ভব হয়নি। জাতীয় নির্বাচন কীভাবে গ্রহণযোগ্য করাবেন? নিজেদের ইচ্ছেমতো মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেললে, এটা দেশবাসী কখনো গ্রহণ করবে না। নির্বাচনে যদি সবাইকে ইনক্লুসিভ না করেন, তাহলে তা দেশবাসীর কাছে, বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না।’

সমাবেশে জি এম কাদেরের অংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, চরম সংকটময় অবস্থায় বাংলাদেশ চলছে। একটা হচ্ছে ব্যান বা নিষিদ্ধ করা। এই সরকার তো ব্যান করতে আসেনি। এই সরকারকে সবাই মিলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দেশ গড়ার জন্য, ঐকমত্য সৃষ্টির জন্য, সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য, অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার করার জন্য, নির্বাচন করার জন্য।

নির্বাচন করা না গেলে সংস্কার টেকসই হবে না উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘সবাইকে যদি ব্যান করা হয়, তাহলে নির্বাচন কাকে নিয়ে হবে? নির্বাচনেরই–বা কী দরকার?...যদি সরকারি দলের বাইরে সব দলকে ব্যান করে দেন, তাহলে নির্বাচন প্রতিনিধিত্বমূলক হবে না। ফলে যে সমস্যার আবর্তনে বাংলাদেশ ঘূর্ণিপাক খাচ্ছিল, আবারও সেই সমস্যার মধ্যেই দেশ ঘূর্ণিপাক খাবে।’

সমাবেশে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুরের সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার, শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম, নুরুন্নাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়