শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১১:০৭ রাত
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শুধু কি পতিত শক্তিই নির্বাচন বানচাল করতে চায়?

মানবজমিন প্রতিবেদন: সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। বলেছেন, যখনই নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চলে তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসে। তিনি এর জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন পতিত স্বৈরাচারী শক্তিকে। প্রশ্ন উঠেছে- শুধু কি পতিত শক্তিই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে? নাকি অন্য কোনো শক্তি। দীর্ঘদিন থেকেই শোনা যাচ্ছে তার নিজের ঘরের ভেতর একটা শক্তি নির্বাচনে বিশ্বাসই করে না।

অন্তত চারজন নীতিনির্ধারক নির্বাচনবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত ছিলেন সেটা কার না জানা! হালে তারা নির্বাচনমুখী হয়েছেন এমন আভাস-ইঙ্গিত দিচ্ছেন। এর কারণ হচ্ছে সরকার প্রধান নিজেই যখন নির্বাচনের কথা বলছেন। তখন তারা ভোল পাল্টে প্রকাশ্যে বলছেন, নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া উপায় কী! অথচ তারাই অন্তত দু’টি শক্তির মাধ্যমে নির্বাচন বিলম্বিত করার প্রয়াসে লিপ্ত ছিলেন।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সামনের কাতারের এই দু’টি শক্তি প্রকাশ্যেই নানা শর্ত আরোপ করে নির্বাচনকে ঘোলাটে করেছে। তাদের কথা- সংস্কার, বিচার ছাড়া নির্বাচন নয়। আবার কখনো পিআর পদ্ধতি, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথাও সামনে আনছে বারবার। জুলাই সনদ তো আছেই। এ নিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী শক্তির সঙ্গে বিরোধ অনেকটাই খোলাসা। ষড়যন্ত্র হচ্ছে নানা দিক থেকে। গোপন বৈঠক নয়, অনেকটা প্রকাশ্যেই।

দু’ঘণ্টা বৈঠকের পর এমন একজন নেতাকে আনন্দে আত্মহারা হতে দেখা গেল টিভির পর্দায়। খবর আসছে নানা সূত্র থেকে। সূত্রগুলো বলছে, অতি সম্প্রতি একটি বিশেষ বৈঠকও হয়ে গেল রাজধানীতে। যে বৈঠকের খবর অনেকেই জানেন না হয়তো। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের না জানার কোনো কারণ নেই। প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক হচ্ছে- এটা এখন আর গুজব নয়। ভূ-রাজনীতির খেলাও যে চটজলদি নির্বাচনের পক্ষে নয়- তা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে নির্বাচন অনিশ্চিত এটা সবাই বলছেন। 

এই দুর্বল প্রশাসনের পক্ষে নির্বাচন করা কঠিন। এমনটা টকশো শুনলে যে কেউই জানতে পারবেন। পতাকা নামিয়ে একটি আলোচিত বৈঠকের খবরও নানা মাধ্যমে চাউর হয়ে আছে। এসব কিসের আলামত? এ ছাড়া, এখানে- সেখানে অনেক কিছুই ঘটছে। আরও কিছু হয়তো ঘটবে- এমনটাই শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন আড্ডায়, কূটনৈতিক পাড়ায়। নির্বাচন যাতে ফেব্রুয়ারিতে না হয় সে তৎপরতার সঙ্গে আরও একাধিক শক্তি সক্রিয় রয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে তা মনে করার কোনো কারণ নেই। নিকট অতীতেই আমরা এ ধরনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পরও বিএনপি জমানায় নির্বাচন ভণ্ডুল হয়েছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়