রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত দু’জন হলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা ও বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক।
পুঠিয়ায় সেনাসদস্যদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং এক শিক্ষককে বিদ্যালয়ে আসতে বাধা দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বুধবার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুই নেতাকে সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম কিছু দিন ধরে নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিমকে বিদ্যালয়ে যেতে বাধা দিচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেছেন। এরপর জেলা বিএনপি আনোয়ারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি ।
পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গত সোমবার ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম তাঁর লোকজন নিয়ে পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামের দুই সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলা করেন। এরমধ্যে সেনাসদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা, লুটপাটের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করা হয়। অন্য সেনাসদস্যের বাড়ির কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। পলাতক থাকায় পুলিশ রফিকুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘আনোয়ারুল ইসলাম একজন হেডমাস্টারকে স্কুলে যেতে দিচ্ছেন না। এ জন্য শোকজ করেছিলাম। তিনি জবাব দিলেও সেটি গ্রহণযোগ্য না। তাই তাঁকে বহিষ্কার করা হলো। রফিকুল ইসলাম দুই সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলা করেছেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তাই তাঁকেও বহিষ্কার করা হলো।’ উৎস: সমকাল।