আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে মারা গেছে আর জানাজা ভারতের দিল্লিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত বলেন, ‘যারা বাইতুল মোকাররমের সামনে হেফাজত কর্মীদের টেনে রাস্তায় নামিয়েছিল, সেই আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না। কিন্তু আট মাস পরে এসেও অনেক রাজনীতিবিদ আমাদের বার বার মনে করিয়ে দেন আওয়ামী লীগ নাকি রাজনৈতিক দল। দলটিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই।’
‘প্রধান উপদেষ্টা কিছুদিন আগে বলেছেন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না সেটার সিদ্ধান্ত নাকি দলটির। ড. ইউনূস আপনি ভুলে যাবেন না আমরাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না সে সিদ্ধান্ত আমাদের,’ বললেন এনসিপি নেতা।
আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে, তার দাফন হয়েছে ভারতে। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। ৩০ হাজার জাসদ কর্মীকে হত্যা করেছিলেন।’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসি নিশ্চিত না করা অবধি দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হসনাত।
তিনি বলেন, ‘শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও আমরা এই তরুণ প্রজন্ম হাসিনার ফাঁসি নিশ্চিত করার অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
নারী কমিশনের ইসলামবিরোধী ধারাগুলো বাতিলেরও আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।
২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে চলা হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি তুলে এনসিপির মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘শহীদদের পরিবারকে নাম প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছি।’