শিরোনাম
◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌনাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ◈ এ‌শিয়া কা‌পে ওমানকে হারা‌লো আরব আমিরাত ◈ বাংলাদেশ দলের বিরু‌দ্ধে আমা‌দের চ্যালঞ্জ নি‌য়ে খেল‌তে হ‌বে: আফগানিস্তান কোচ

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৫০ সকাল
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজার দুই হাত হারানো শিশুর ছবি তুলে বিশ্বকে চমকে দিলেন ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী

পার্সটুডে- ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী সামার আবু এলোফ ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। গাজার এক পঙ্গু ফিলিস্তিনি শিশুর হৃদয়বিদারক ছবি তুলে তিনি এই সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাস্তবতা ও মানবিক সংকটকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে এই ছবি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ছবিটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আর ঐ ছবিতে দেখা যায়, দুই হাত হারানো মাহমুদ আজজুর নামের এক নয় বছরের ফিলিস্তিনি শিশুকে। ঐ ফিলিস্তিনি শিশুর দুই হাতই গাজা সিটিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বোমার আঘাতে ছিন্ন ও বিকৃত হয়ে গেছে। এই ছবি বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করেছে, যা আরও একবার গাজার মানবিক সংকট এবং ফিলিস্তিনিদের দুঃসহ বাস্তবতা আন্তর্জাতিক মঞ্চের সামনে নিয়ে এসেছে।

ফটোসাংবাদিক আবু এলোফ বলেন, মাহমুদ আজজুরের মা আমাকে যেসব কষ্টের কথা বলেছিলেন, তার মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ছিল- যখন মাহমুদ বুঝতে পারে তার হাত নেই, তখন সে তার মাকে প্রথম বলেছিল; ‘আমি তোমাকে কীভাবে জড়িয়ে ধরবো মা?’

আলোকচিত্রী সামার আবু এলোফ নিজেও গাজার বাসিন্দা ছিলেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ার পর তিনিও গাজা থেকে সরে যান। বর্তমানে তিনি কাতারের দোহায় অবস্থান করছেন। সেখানে আশ্রিত গুরুতর আহত ফিলিস্তিনিদের জীবন সংগ্রামের চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করছেন।

ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী সামার আবু এলোফ আমস্টারডামে তার ছবির প্রদর্শনীতে হাসি-খুশি হননি। সামার আবু এলোফ বলেন, ছবিটি তোলার সময় তিনি তার চার সন্তানের কথা ভাবছিলেন, বিশেষ করে সবচেয়ে ছোট সন্তানের কথা। ঐ সন্তানের বয়স ১২ বছর।

ফিলিস্তিনের গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরাইলের নারকীয় হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ২০ হাজারের বেশি শিশু শহীদ হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও হাজার হাজার শিশু।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়