বিবিসি বাংলার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুবাইয়ে 'পোরটা পট্টি' নামে একটি অবৈধ চক্র সক্রিয় রয়েছে, যারা অর্থের বিনিময়ে নারীদের যৌনকর্মে বাধ্য করে। এই চক্রের সাথে জড়িত উগান্ডার কয়েকজন নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
যখন একজন উগান্ডার তরুণীর মৃত্যুর খবর ভাইরাল হয়, তখন #DubaiPortaPotty-এর বিষয়টি আলোচনায় আসে। বিবিসি আই-এর তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে এর পিছনে আরও অন্ধকার বাস্তবতা লুকিয়ে রয়েছে, এবং উগান্ডার মহিলাদের কাছ থেকে শোনা গেছে যে তাদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে প্রায়শই কাজের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল
প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো হলো:
'পোরটা পট্টি' চক্র: দুবাইয়ের এই অবৈধ চক্রটি নারীদের দিয়ে বিকৃত যৌনাচার ও পতিতাবৃত্তি পরিচালনা করে।
সন্দেহজনক মৃত্যু: মোনিক কারুঙ্গি ও কায়লা নামের দুই নারী, যারা এই চক্রের শিকার হয়েছিলেন, দুবাইয়ে উঁচু ভবন থেকে পড়ে মারা যান। দুবাই পুলিশ এই দুটি মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।
গোপন নেটওয়ার্ক: বিবিসি মোনিক ও কায়লার মৃত্যুর পেছনে একটি গোপন নেটওয়ার্কের সন্ধান পায়। এই চক্রটি মূলত উগান্ডা থেকে নারীদের দুবাইয়ে নিয়ে আসে এবং পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে।
মূল হোতা: চার্লস ময়সিগুয়া নামের এক ব্যক্তি এই চক্রের অন্যতম প্রধান সংগঠক। তিনি নিজেকে ইভেন্ট অর্গানাইজার হিসেবে পরিচয় দিলেও উগান্ডা থেকে নারীদের এনে দুবাইয়ে অবৈধ যৌন ব্যবসা পরিচালনা করেন।
পরিবারের দুর্দশা: মোনিকের পরিবার তার মৃতদেহ ফেরত পায়নি। তবুও তারা তার স্মরণে একটি প্রার্থনার আয়োজন করে।
ভিডিওটি দুবাইয়ের অন্ধকার জগতের একটি দিক তুলে ধরেছে, যেখানে অবৈধ চক্রের হাতে নারী পাচার ও তাদের করুণ পরিণতির বিষয়টি উঠে এসেছে।