শিরোনাম
◈ যমুনা সেতু থেকে রেললাইন অপসারণ শুরু, নাট-বল্টু খুলে ফেলার কাজ শুরু ◈ ঘর বদল কর‌ছেন না রোনাল‌দো, সৌ‌দির আল-নাসেরেই থাকছেন ◈ ফুটসাল খেল‌বে বাংলা‌দেশ, প‌ড়ে‌ছে চ্যাম্পিয়ন ইরানের গ্রুপে ◈ সৌদি আরব আনছে ৩৫০০ কোটি টাকার লিগ, হুমকির মুখে আই‌পিএল, বড় পদ‌ক্ষেপ নি‌চ্ছে বি‌সি‌সিআই ◈ ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর শাসনে জরুরি অবস্থা জারির আরেক অজানা কাহিনী ◈ আসিফ-ইশরাকের পরস্পর দোষারোপ, বাড়ছে উত্তাপ! ◈ উত্তরার অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট: কোটি টাকার ভাড়া যাচ্ছে কার পকেটে? ◈ প্রতিষ্ঠানের ভুলে পরীক্ষাবঞ্চিত দুই শিক্ষার্থী: এক বছরের ক্ষতির দায় নেবে কে? ◈ উত্তরায় কিশোর গ্যাং দমনে যুদ্ধের ঘোষণা ডিসি মহিদুলের ◈ হাতিয়ায় গুজবের তোলপাড়: পুকুরে কুমির নয়, ছিল গুইসাপ!

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:৫৫ রাত
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুস্তাক-তিশার সম্পর্ক ও আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির চরিত্র  

সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু

সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু: গভর্নিংবডির সদস্য হিসেবে মুস্তাকের দায়। আইনে যাই থাকুক, আমাদের নৈতিকতার মানদণ্ডে মুস্তাকের সবচেয়ে বড় অপরাধ, তিনি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য থাকাকালে একই প্রতিষ্ঠানের কোনো ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো, বিয়ে করা। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই, তিশাই মুশতাককে সম্পর্কের বিষয়ে প্রভাবিত করেছে, তারপরও কেবল গভর্নিং বডির দায়িত্বে থাকার কারণে মুশতাক সাহেবের উচিত ছিল নিজেকে সংযত করা। কারণ গভর্নিংবডির পদে থাকার কারণেই তিনি এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। তাদের ভালোমন্দের দেখভাল করা, রক্ষকের ভূমিকায় থাকা, কিন্তু মুশতাক কার্যত ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।  ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গভর্নিং বডির প্রতি লাখ লাখ অভিভাবকের আস্থা, ভরসার ভিত নষ্ট হয়েছে। 

আমরা যদি গভর্নিংবডির একজন সদস্যের তার স্কুল-কলেজের টিনএজ মেয়েদের সাথে প্রেমের, বিয়ের সম্পর্ককে সহজ বলে মেনে নিই তাহলে কি আমরা আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষক-ছাত্রীর প্রেমকেও সহজভাবে মেনে নেবো, নাকি মেনে নেওয়া উচিত হবে? আমাদের সমাজমানস, আমাদের সামাজিক সংস্কৃতির একটি নিজস্ব চরিত্র আছে। আমরা কি বাঙালি সমাজমানসকে অপ্রয়োজনীয়, ব্যাকডেটেড বলে পায়ে ঠেলবো। আসলে মুশতাক সাহেব একজন নারীলিপ্সু, বিকৃতরুচির মানুষ। যে মানুষের দু’দুটি  স্ত্রী আছে, সন্তান আছে, তারপরও যখন আরও একটি টিনএজ মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে , বিয়ে করে তখন বুঝতে বাকি থাকে না তার নৈতিক চরিত্র কেমন। 

প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়োজন, সম্প্রতি একটি অনলাইন মাধ্যমের টকশোকে মুশতাক সাহেব বলেছেন, তিনিই প্রথম ফেসবুকে তিশাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। আমি নিজে তাকে বলতে শুনেছি। প্রশ্ন হচ্ছে, তার ভাবনায় কি একবারও আসলো না গভর্নিংবডির একজন সদস্য হিসেবে তারই প্রতিষ্ঠানের একজন টিনএজ ছাত্রীকে আগবাড়িয়ে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো ঠিক কাজ নয়। তিনি তিশাকে কেন হাজারটা টিনএজ মেয়েকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারেন যদি না তারা তারই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী না হন। সবকিছুর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মুশতাক সাহেব এই সম্পর্ক গড়েছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডির সদস্য পদে থাকার সুযোগ নিয়ে। এটি সামাজিক, নৈতিক দিক থেকে চরমতম অপরাধ। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়