সনত চক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুমতি নদীতে মাছ ধরার সময় বৈঠার আঘাতে শৌখিন খান (৩৮) নামে এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলা এবং মাগুরার মহম্মদপুর সীমান্তবর্তী মাঝিপাড়া ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শৌখিন খান মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি জব্বার মোল্লা (৩৭), ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের ছলেমান মোল্লার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে শৌখিন খান ও তার সহযোগী হুমায়ূন শেখ মাছ ধরতে নদীতে যান। একই সময় একই এলাকায় মাছ ধরছিল জব্বার মোল্লা, রবিউল মোল্লা ও সানি শেখ। গভীর রাতে ফিরে আসার পথে উভয় পক্ষের মধ্যে জালের উপর দিয়ে নৌকা চালানো নিয়ে বচসা হয়। একপর্যায়ে জব্বার মোল্লা বৈঠা দিয়ে শৌখিন খানের মাথায় আঘাত করলে তিনি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুপুর ২টা পর্যন্ত চালানো অভিযানে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি। ডুবুরিদল জানায়, প্রথম ধাপে অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ায় অভিযান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়, পরে আবার অভিযান চালানো হয়।
নিখোঁজ শৌখিন খানের স্বজন ও এলাকাবাসী সকাল থেকেই বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ঘাটে আহাজারি করতে থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শী হুমায়ূন শেখ বলেন, “জব্বার ও রবিউল আমাদের জালের উপর দিয়ে নৌকা চালানোর অভিযোগ এনে মারধর শুরু করে। জব্বার বৈঠা দিয়ে শৌখিনের মাথায় আঘাত করলে সে পানিতে পড়ে যায়।”
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।