শিরোনাম
◈ আসিফ-ইশরাকের পরস্পর দোষারোপ, বাড়ছে উত্তাপ! ◈ উত্তরার অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট: কোটি টাকার ভাড়া যাচ্ছে কার পকেটে? ◈ প্রতিষ্ঠানের ভুলে পরীক্ষাবঞ্চিত দুই শিক্ষার্থী: এক বছরের ক্ষতির দায় নেবে কে? ◈ উত্তরায় কিশোর গ্যাং দমনে যুদ্ধের ঘোষণা ডিসি মহিদুলের ◈ হাতিয়ায় গুজবের তোলপাড়: পুকুরে কুমির নয়, ছিল গুইসাপ! ◈ শাজাহানপুরে বিএনপিকে হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগের পোস্টার, রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা ◈ চুয়ান্ন বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ হয়নি: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম ◈ টাঙ্গুয়ার হাওরে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড ◈ ইরানের বিজয়ের কথা শুনেই রেজা পাহলভি হাসপাতালে ভর্তির খবর ভুয়া দাবি তাঁর কার্যালয়ের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগদাতা আমরা না: সারজিস আলম (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০২৫, ০২:১৬ রাত
আপডেট : ২৭ জুন, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তরার অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট: কোটি টাকার ভাড়া যাচ্ছে কার পকেটে?

মো. রফিকুল ইসলাম মিঠু, ঢাকা: রাজধানীর উত্তরার সোনারগাঁও জনপথ সড়কের পাশে রাজউকের মালিকানাধীন জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট থেকে প্রতি মাসে আদায় হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ভাড়া। অথচ এসব দোকানের কোনো বৈধ মালিকানা নেই। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কিছু সুবিধাভোগী নেতাকর্মী এসব দখল ও ভাড়া বাণিজ্যে জড়িত।

সূত্র জানায়, উত্তরা ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন এই এলাকাতে ৩১ থেকে ৩২টি সরকারি প্লটে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী টিনশেড মার্কেট। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩০০টি দোকান, যার মধ্যে ২৬০টিই ফার্নিচারের। বাকি দোকানগুলোতে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, গাড়ির গ্যারেজ, বেডিং তৈরির কারখানা ও কাঁচাবাজার।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, এসব প্লটের কিছু বরাদ্দ বাতিল হয়েছে, কিছু মামলাাধীন, আবার কিছু এখনো খালি। এসব প্লটে গড়ে ওঠা দোকানগুলো থেকে নিয়মিত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজউকের একাধিক কর্মকর্তাও এই ভাড়া ভাগাভাগিতে জড়িত। মাস শেষ না হতেই তাদের কাছে পৌঁছে যায় ‘অংশের টাকা’।

এ বিষয়ে রাজউক উত্তরা আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) জানান, অবৈধ দখল উচ্ছেদে রাজউকের সাধারণ সভায় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্লটগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। প্রক্রিয়াটি বর্তমানে চলমান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জমজম টাওয়ার থেকে ময়লার মোড় পর্যন্ত প্রায় সাত-আটশ মিটার এলাকাজুড়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযানে গেলেও অল্প সময়ের মধ্যেই আবার দখল হয়ে যায়।

অভিযোগ রয়েছে, এসব প্লট ভাড়া দেওয়ার নামে তৈরি হয়েছে অপেশাদার চুক্তিপত্র— যেখানে ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই চুক্তি করে দখলদাররা। দোকান ভাড়ার অর্থ ভাগাভাগি হয় একাধিক ধাপে।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা করছে একদল প্রভাবশালী। আমরা কেউ কথা বলতে পারি না। রাজউকের লোকজন সব জানে, কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না।”

উল্লেখ্য, এসব অবৈধ দখল ও ভাড়া বাণিজ্য সরকারি রাজস্ব হারাচ্ছে, আর উত্তরা পরিণত হচ্ছে অপরিকল্পিত মার্কেট এলাকার এক ভয়াবহ দৃষ্টান্তে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়