শিরোনাম
◈ 'মাকে লোকে ভয় দেখিয়েছিল, মেয়ে এই কাজ করলে বিয়ে হবে না' ◈ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে বিশেষ বার্তা ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ◈ সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান গ্রেফতার ◈ ডলার সংকট–রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিদেশি-প্রবাসীদের শেয়ারবাজার বিমুখতা ◈ ভারতীয় ক্রিকেট বো‌র্ডের ক‌্যাশবা‌ক্সে ৫ বছরে ১৫ হাজার কো‌টি টাকা  জমা  ◈ আ'তঙ্কে কাঁপছে ভারত, সেনাপ্রধানের সরল স্বীকারোক্তি! (ভিডিও) ◈ এবার জাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট ◈ ভারত আমাদের প্রয়োজন নেই, বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চাই: ন্যাটোর অস্ট্রিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান গুনথার ◈ ওবায়দুল কাদের কোনঠাসা, শেখ হা‌সিনার কা‌ছে গুরুত্ব পা‌চ্ছেন যে তিন নেতা‌!

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০২৫, ০২:১৬ রাত
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তরার অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট: কোটি টাকার ভাড়া যাচ্ছে কার পকেটে?

মো. রফিকুল ইসলাম মিঠু, ঢাকা: রাজধানীর উত্তরার সোনারগাঁও জনপথ সড়কের পাশে রাজউকের মালিকানাধীন জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট থেকে প্রতি মাসে আদায় হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ভাড়া। অথচ এসব দোকানের কোনো বৈধ মালিকানা নেই। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কিছু সুবিধাভোগী নেতাকর্মী এসব দখল ও ভাড়া বাণিজ্যে জড়িত।

সূত্র জানায়, উত্তরা ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন এই এলাকাতে ৩১ থেকে ৩২টি সরকারি প্লটে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী টিনশেড মার্কেট। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩০০টি দোকান, যার মধ্যে ২৬০টিই ফার্নিচারের। বাকি দোকানগুলোতে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, গাড়ির গ্যারেজ, বেডিং তৈরির কারখানা ও কাঁচাবাজার।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, এসব প্লটের কিছু বরাদ্দ বাতিল হয়েছে, কিছু মামলাাধীন, আবার কিছু এখনো খালি। এসব প্লটে গড়ে ওঠা দোকানগুলো থেকে নিয়মিত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজউকের একাধিক কর্মকর্তাও এই ভাড়া ভাগাভাগিতে জড়িত। মাস শেষ না হতেই তাদের কাছে পৌঁছে যায় ‘অংশের টাকা’।

এ বিষয়ে রাজউক উত্তরা আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) জানান, অবৈধ দখল উচ্ছেদে রাজউকের সাধারণ সভায় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্লটগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। প্রক্রিয়াটি বর্তমানে চলমান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জমজম টাওয়ার থেকে ময়লার মোড় পর্যন্ত প্রায় সাত-আটশ মিটার এলাকাজুড়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযানে গেলেও অল্প সময়ের মধ্যেই আবার দখল হয়ে যায়।

অভিযোগ রয়েছে, এসব প্লট ভাড়া দেওয়ার নামে তৈরি হয়েছে অপেশাদার চুক্তিপত্র— যেখানে ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই চুক্তি করে দখলদাররা। দোকান ভাড়ার অর্থ ভাগাভাগি হয় একাধিক ধাপে।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা করছে একদল প্রভাবশালী। আমরা কেউ কথা বলতে পারি না। রাজউকের লোকজন সব জানে, কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না।”

উল্লেখ্য, এসব অবৈধ দখল ও ভাড়া বাণিজ্য সরকারি রাজস্ব হারাচ্ছে, আর উত্তরা পরিণত হচ্ছে অপরিকল্পিত মার্কেট এলাকার এক ভয়াবহ দৃষ্টান্তে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়