প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চার দিনের লন্ডন সফরে বহুমাত্রিক অর্জনের কথা জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই সফরের অর্জনের বিষয়ে লিখেন তিনি।
রাত ১১টা ৫১ মিনিটে দেয়া ওই পোস্টে প্রেস সচিব ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার গ্রহণ, ব্রিটেনে শেখ হাসিনার শীর্ষ এক সহযোগীর ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ, রোহিঙ্গার সমস্যার মতো বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করেছেন।
‘যুক্তরাজ্য সফরের অর্জন’ শিরোনামে দেয়া ওই পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, রাজা চার্লসের কাছ থেকে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার গ্রহণ এবং ব্রিটিশ রাজার সঙ্গে ৩০ মিনিটের একান্ত বৈঠক জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং গত বছরের জুলাই থেকে বাংলাদেশে যুগান্তকারী পরিবর্তনের স্বীকৃতি।
পোস্টে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের বিষয়ে তিনি লিখেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা ও দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের ‘গেম ওভারের’ মুহূর্ত।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, যুক্তরাজ্যের এনসিএ হাসিনার একজন শীর্ষ সহযোগীর ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের ৩২০টি সম্পত্তি জব্দ করেছে। এনসিএ কর্মকর্তারা বলেছেন- এটি সংস্থাটি কর্তৃক একক বৃহত্তম সম্পদ জব্দ। এটি সমস্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের জন্য একটি বার্তা। সেই সঙ্গে এটি অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য আইজি কী করছেন তারও একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
এছাড়াও পোস্টের শেষদিকে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের বিষয়ে প্রেস সচিব লিখেছেন, ব্রিটিশ মন্ত্রী, আইন প্রণেতা ও কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ সরকারের গভর্নর ও দুদক প্রধানসহ বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে ধারাবাহিক বৈঠকের মধ্যদিয়ে সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য গভীরতর সম্পৃক্ততার পথ প্রশস্ত হয়েছে। আশা করি, আমরা সারাবিশ্বে এই অভিজ্ঞতা ব্যবহার করতে পারব। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আরও কিছু আশা তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।