আর রাজী: পায়ে প্লাস্টার নিয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ফেসবুকে বা ইউটিউবে নতুন পুরাতন নানান টকশো দেখি, শুনি বা পোস্ট পড়ি অনেকটা সময়। যারা এইসব টক শোতে কথা বলেন, পোস্ট দেন- তাদের সাথে সম্পর্ক নাই বটে, কিন্তু এদের অনেককেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, জানি বা যাদের চিনিজানি তাদের কথাই বেশি শুনি, পড়ি।
কী এক দুর্ভাগ্যজনক জীবনাভিজ্ঞতা আমার! অধিকাংশকেই মেলাতে পারি না। এই যেমন- এখন দেখছি যারা নিজেদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে পশ্চিমে রেখেছেন, যাদের মাকসুদে মঞ্জিল পশ্চিমবিশ্ব, তারা পশ্চিমকে পাত্তাই দিতে চাইছেন না! অথচ এদেশের কত অগণন তরুণ একদিন পশ্চিমে গিয়ে শ্বাস ও জীবনের স্বাদ নিবেন আশায় লড়ে যাচ্ছেন।
জানেন, আজকাল কোনো আকাম-কুকামের কথা যখন দেখি বা পড়ি, কারো উল্টা-পাল্টা-কৌশলী বক্তব্য বা লেখা নজরে আসে- সেসব নিয়ে সামান্য মন্তব্য করতেও অস্বস্তি বোধ হয়। কারণ উনি হয় আমার বড়ভাই-বন্ধু বা ছোটভাই পর্যায়ের বা অন্য কোনোভাবে পরিচিত জন৷ উনারা হয়তো সাফল্যের আলোয় জ্বলজ্বল করছেন, উনাদের থেকে আমার নক্ষত্রের দূরত্বে বাস কিন্তু তারপরও তাদের কাজে কথায় কী যে বিব্রত লাগে। ভণ্ডামি আর প্রতারণাপূর্ণ সেসব কাজে-ভাষ্যে কী এক হীনতা, লজ্জা-শরমিন্দা যে ঘিরে ধরে আমাকে। দূরবর্তী লজ্জায় কুকড়ে যেতে থাকি। সত্য তো এই- আমি তাদেরই একজন। এঁরাই আমার স্বজাতি, ভাই-বন্ধুজন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়
আপনার মতামত লিখুন :