শিরোনাম
◈ ইসরায়েলের দিকে আবারও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, বাজছে সতর্কতামূলক সাইরেন ◈ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আইন সংশোধনে ফলকার তুর্কের উদ্বেগ ◈ সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্টহাউসে কক্ষে কক্ষে তল্লাশি চালানো সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার ◈ খুব দেরি হওয়ার আগেই’ ইরানের আলোচনায় ফেরা উচিত: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ◈ ভুটান থে‌কে ফি‌রে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দি‌লেন ঋতুপর্ণা, মারিয়া ও মনিকা ◈ সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ ◈ আতঙ্কে দলে দলে তেহরান ছাড়ছেন বাসিন্দারা ◈ ইশরাককে ‘মেয়র’ পরিচয়ে নগর ভবনে সভা: যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ ◈ স্টুডিওতে একজন নারী নিউজ অ্যাঙ্কর সংবাদ পাঠ করার সময় হাঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে (ভিডিও) ◈ ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে বাংলাদেশ সরকার

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:৪৯ রাত
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সোভিয়েত জনগণ গ্লাসনস্ত-পিরিস্ত্রোইকার বদৌলতে স্বাধীনতা পেয়ে কী কাজে লাগিয়েছিল?

মশিউল আলম

মশিউল আলম: আমার যেসব বন্ধু-কমরেড গ্লাসনোস্ত-পিরিস্ত্রোইকার শুরুতে উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে গর্বাচভের মহিমাকীর্তন করতেন আর স্বপ্ন দেখতেন যে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্থবির দশা এবার কেটে যাবে, নবীণ প্রাণ সঞ্চারিত হবে আপারাৎচিক-পীড়িত মরচেপড়া পার্টির দেহমনে, তাঁরা সদ্যপ্রয়াত গর্বাচভের প্রতি যে ভাষায় ঘৃণা প্রকাশ করছেন তা দেখেশুনে ভেবে পাচ্ছি না, এই বন্ধু-কমরেডরা কি অন্ধ ছিলেন? তাঁরা কি চোখের সামনেই দেখতে পাননি, সোভিয়েত জনগণ গ্লাসনস্ত-পিরিস্ত্রোইকার বদৌলতে স্বাধীনতা পেয়ে সেই স্বাধীনতা কী কাজে লাগিয়েছিল? কেমন করে ইয়েলৎসিনের মতো একজন অ্যালকোহলিক রুশ জনগণের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিল, যে ইয়েলৎসিন বলে চলছিল যে পিরিস্ত্রোইকা দিয়ে হবে না, পুঁজিতান্ত্রিক বিপ্লব আনতে হবে? আর জনগণ কী বোকার মতো অধৈর্য্য হয়ে উঠেছিল: এত ধীরে কেন? রাতারাতি মস্কোকে প্যারিস বানিয়ে দাও। জিন্স-ম্যাকডোনাল্ডস ইত্যাদি হাজার রকমের ভোগ্যপণে আজই আমাদের ভাসিয়ে দাও।  নইলে কীসের পিরিস্ত্রোইকা? নইলে কীসের দেমোক্রাতিয়া?

যে রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ক্রেমলিনের কয়েকটা হলঘর আর করিডোরে কতকগুলো নীতিহীন ও জনবিচ্ছিন্ন লোক সোভিয়েত ইউনিয়নের ২৮ কোটি মানুষের জীবনের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত, গর্বাচভ সেই ব্যবস্থাটাকে একটুখানি গণতান্ত্রিক, দায়িত্বশীল ও ভদ্রসদ্র করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর জানা ছিল না যে সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণ গণতন্ত্র পেয়ে খোদ সোভিয়েত রাষ্ট্রটাকেই ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলতে চাইবে। বিশেষত রাশিয়ার জনগণ ইয়েলৎসিনের নেতৃত্বে ভাঙনের কাজটা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে, যেখানে গর্বাচভ অচিরেই ক্ষমতাহীন, ‘মুকুটহীন সম্রাটে’ পর্যবসিত হবেন।

সোভিয়েত ব্যবস্থার সামগ্রিক স্থবিরতা, দুর্বলতা ও আত্মপ্রতারণা কাটানোর আকাক্সক্ষায় গর্বাচভ জনসাধারণের শুভবুদ্ধি ও দায়িত্বশীলতার ওপর ভরসা করে যে বাঁধভাঙার কাজে হাত লাগিয়েছিলেন, সেই বাঁধের উজানে এত প্রবল শক্তি পুঞ্জিভূত হয়ে উঠেছিল যে তিনি নিজেই সেই বাঁধভাঙা স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছেন। সেজন্য তাঁকে ব্যর্থতার দায় অবশ্যই দেওয়া যায়, কিন্তু আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সুবিবেচনার কাজ হয় না। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়