শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:১৪ রাত
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাষ্ট্রের মানুষ ও রাষ্ট্রযন্ত্র মানবিক হোক

রাশেদা রওনক খান

রাশেদা রওনক খান: বাচ্চাদের স্কুল-কলেজ বন্ধ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাসে চলে গেলো। করোনার সময় যেহেতু পারা গেছে, এখনো অনেক অফিস চাইলে ‘হোম অফিস’ শুরু করতে পারে। এরকম অসহনীয় পর্যায়ের গরম থাকলে হয়তো অনেক অফিসে মানবিকতার জায়গা থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে, আশা করতেই পারি। কিন্তু আমি ভাবছি তাদের কথা, যারা রাস্তায় বের না হলে পেটে ভাত জুটবে না, তাদের প্রতি আমরা একটু মানবিক হতে পারি কিনা। ভ্যানচালক, রিক্সাচালক, হকার-সহ অনেক ইনফরমাল ব্যবসায় জড়িত,  ট্রান্সপোর্ট শ্রমিক, বিভিন্ন কারখানা ও গার্মেন্টস শ্রমিক- যারা পায়ে হেঁটে এই অসহনীয় গরমের মাঝে কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন-আসছেন, তাদের প্রতি? অথবা চাকরির প্রয়োজনে রাস্তায় ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের প্রতি, যারা তপ্ত রৌদ্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে তার  ডিউটি পালন করছেন, তাদের প্রতি?

গাছ কেটে কেটে ঢাকা শহরে গড়ে ওঠা কর্পোরেট বিল্ডিং, গ্লাস হাউজ, রেস্টুরেন্ট সহ নানা বিল্ডিং এর খালি জায়গাটুকুতে এই খেটে খাওয়া রাস্তার মানুষগুলোকে একটু বিশ্রাম নিতে সুযোগ দিন, সিকিউরিটি গার্ড দিয়ে তাদের গা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবেন না। কারণ এই শহরে তাদের শরীর খারাপ লাগলে  গাছের ছায়া নাই যেখানে তারা বসে একটু পানি খাবেন স্বস্তিতে। রাস্তার দুইপাশের গাছ কাটার দায় যেমন মেয়রদের নিতে হবে, তেমনি শহর জুড়ে গাছ কেটে এই সকল সুউচ্চ বাড়ি বানানোর দায় তো আমাদেরও নিতে হবে। 

রাস্তায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে বসে কিংবা কর্পোরেট বিল্ডিংয়ের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে আমরা হয়তো তাদের কষ্টগুলো দেখতে পাই, কিন্তু আমরা কয়জন তাদের জায়গা হতে অনুভব করতে পারি? সিমপ্যাথি ও এম্প্যাথিÑ দুটো ভিন্ন বিষয়। প্রথম অনুভূতিটি অনেকের থাকলেও দুটোই থাকা মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কম, অতি নগন্য তারা সংখ্যায়। আর নগণ্য দিয়ে তো পৃথিবী টিকে থাকতে পারে না, সে কারণেই পৃথিবীর জলবায়ুর আজ এই অবস্থা। রাষ্ট্রের মানুষের দুটো না থাকলে আমরা রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছ থেকে দুটোই পাবোÑ এই আশাইবা করি কীভাবে। ২১-৪-২৪। ফেসবুক থেকে 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়