শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:৫৫ বিকাল
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০৮:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিয়ম মেনেই অবতরণের অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ 

ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে সরাসরি ঢাকায় ফ্লাইট অবতরণ

সুজন কৈরী: [২] ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে ১১ এপ্রিল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় রওনা হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশে অবতরণ করে একটি ফ্লাইট। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক কোনও সম্পর্ক না থাকলেও সেখান থেকে সরাসরি বাংলাদেশে ফ্লাইট অবতরণ করার বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

[৩] হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এনসিআর-৮০৬ নম্বর ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। এটি একটি কার্গো উড়োজাহাজ যা একসঙ্গে ১০৮ টন মালামাল নিতে সক্ষম। ফ্লাইটটি অবৈধভাবে দেশে অবতরণ করেনি। সব ধরনের নিয়ম মেনেই একে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইটটিতে কোনও যাত্রী বা মালামাল ছিল না।

[৪] ইসরায়েল থেকে আসা সরাসরি ফ্লাইটের বিষয়ে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, ইসরায়েল থেকে ফ্লাইট আসার তথ্যটি সঠিক। তবে ফ্লাইটটি ফাঁকা ছিল। বাংলাদেশে নামানোর মতো কিছু ছিল না।

[৫] এটি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এয়ারক্রাফটিও যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধন নেওয়া। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট (এএসএ) রয়েছে। তাদের ফ্লাইট অবতরণে কোনও বাধা নেই। মূলত ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি বাংলাদেশ থেকে রেডি মেড গার্মেন্টস (আরএমজি) পণ্য নিয়েছে। এয়ারলাইন্সটি এই পণ্য শারজাহ এবং ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।

[৬] উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরায়েলে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আছে। জাতিসংঘভুক্ত যে ২৮টি দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশি হাতে লেখা ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে স্পষ্টভাবে ছাপানো ছিল যে, ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’।  

[৭] এদিকে ইসরায়েলের ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

[৮] শনিবার বেবিচকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইল থেকে বিমান এলো ঢাকায়’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৭ এপ্রিল একটি বিমান তেল আবিব থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে ও কার্গো নিয়ে রাত ১১টা ৫৫ ঘটিকায় ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে এবং অপরটি গত ১১ এপ্রিল তারিখ রাতে ঢাকায় অবতরণ ও মধ্যরাত সাড়ে ১২ টায় কার্গো নিয়ে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত এবং ওই দেশের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের।

[৯] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকা এসেছিল। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপের একটি গন্তব্যে গিয়েছে। বাংলাদেশ ও ইসরাইলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরাইলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

[১০] ‘ইসরাইল থেকে বিমান এলো ঢাকায়’ শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাক্সিক্ষত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসাবে বিবেচ্য। এরূপ সংবাদ পরিবেশন হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো। সম্পাদনা: ইকবাল খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়