শিরোনাম
◈ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সতর্কবার্তা: বাংলাদেশ-নেপালে তরুণদের আন্দোলনে সরকার পতনের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি ◈ কাতারের পর এবার ইয়েমেনে হামলা চালাল ইসরায়েল ◈ কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনকে সাময়িক বরখাস্ত ◈ ৯/১১ হামলার ২৪ বছর: নিহতদের স্মরণে যুক্তরাষ্ট্রে শোক ও শ্রদ্ধা ◈ ৩৩ বছর পর ভোট জাকসুতে—ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ প্রার্থী ◈ নরসিংদীতে তুচ্ছ ঘটনায় আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ◈ চিঠি লিখে ভারতকে একহাত নিলেন নেপালের পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী ◈ লাইফ সাপোর্টে ফরিদা পারভীন ◈ এ‌শিয়া কাপ, ৪ ওভার ৩ বল খে‌লে আরব আ‌মিরাত‌কে হারা‌লো ভারত ◈ আগুন জ্বলে উঠতে পারে ভারতেও, শিবসেনা নেতার সতর্কতা

প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:২৪ দুপুর
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সফল ও সুখী হতে ওয়ারেন বাফেটের ১০ পরামর্শ, যা তিনি নিজেও মেনে চলেন

মিডিয়াম : ৯৪ বছর বয়সী ওয়ারেন বাফেট জীবনকে উপভোগ করেন নিজের মতো করে। প্রতিদিন চলেনও নিজের নিয়মে। এ কারণেই তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন। ‘ওমাহার জাদুকর’ নামে পরিচিত ওয়ারেন বাফেটকে বলা হয় বিশ্বের সেরা বিনিয়োগকারী।

বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ারেন বাফেট ৪০ বছর পার হওয়া মানুষদের দিয়েছেন সহজ ১০ পরামর্শ। যা অনুসরণ করে তিনি নিজেও পেয়েছেন সফলতা এবং মানসিক শান্তি। জেনে নেওয়া যাক সেসবই।

যা খেয়ে আনন্দ পান, তা–ই খান
ওয়ারেন বাফেট নাশতায় খান ম্যাকডোনাল্ডসের খাবার। সারা দিন খান চেরি কোক আর হাতের কাছে রাখেন পিনাট ব্রিটল। একবার মজা করে বলেছিলেন, ‘ছয় বছরের শিশুদের মৃত্যুহার সবচেয়ে কম। তাই আমি তাদের মতো করেই খাই।’

তাঁর কথা, চল্লিশের পর খাওয়াদাওয়া নিয়ে অপরাধবোধে ভুগবেন না। যা খেলে আনন্দ মেলে, তা–ই খাওয়া উচিত। কারণ, খুশিও একধরনের বিনিয়োগ।

টাকা নয়, মূল্য
সম্পর্কে, কর্মক্ষেত্রে কিংবা বন্ধুত্বে কখনোই ভালোবাসাকে অর্থের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে নেই—এটাই বাফেটের উপদেশ। তাঁর মতে, ‘শর্তহীন ভালোবাসা পাওয়া জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’

চল্লিশের পর প্রকৃত সম্পদ হলো মানসিক নিরাপত্তা। আর ভালোবাসা পেতে হলে আগে নিজেকে এমন মানুষ বানাতে হবে, যাঁকে ভালোবাসা যায়।

বীজ বুনুন, বেচাকেনা নয়
বাফেট ব্যবসা বদলান না, তিনি গাছ লাগান। তাঁর পরামর্শ, ‘অধিকাংশ মানুষের জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হলো কম খরচের ইনডেক্স ফান্ডে বিনিয়োগ করা।’ অর্থাৎ পুরোনো ঢঙেই টাকা বাড়ানো। এখানে জটিল কৌশলের চেয়ে দরকার স্থির মন আর ধৈর্য।

বন্ধু বেছে নিন
বাফেটের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সম্মানের ওপর, চাকচিক্যের ওপর নয়। তিনি বলেন, ‘যাদের মতো হতে চান, তাদের সঙ্গেই থাকুন। আপনিও তাহলে ধীরে ধীরে তাঁদের মতো হয়ে উঠবেন।’ কারণ, চরিত্র অনেকটাই ‘ছোঁয়াচে’। তাই কার সঙ্গে ওঠাবসা করছেন এবং কী কী শিখছেন, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

একঘেয়েমিকে শিক্ষক বানান
বাফেট দিনে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পড়াশোনা করেন। তাঁর সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ টাকা নয়, মনোযোগ। তিনি বলেন, ‘আমি অফিসে বসে সারা দিন পড়ি।’

তাঁর মতে, ব্যস্ত থাকা কোনো কৃতিত্ব নয়; আসল কৃতিত্ব হলো কৌতূহলী থাকা।

সাধ্যের নিচে থাকুন
ওয়ারেন বাফেট আজও থাকেন সেই বাড়িতেই, যা কিনেছিলেন ১৯৫৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কার ওমাহা শহরে।

বাফেটের ভাষায়, ‘দশটা বাড়ি কি আমাকে সুখী করবে? সম্পত্তি বেশি হলে একসময় সেটাই উল্টো আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। যত কম চাইবেন, তত কম হারানোর ভয় থাকবে। সরলতা কোনো ত্যাগ নয়, বরং প্রজ্ঞা।’

‘না’ বলার কৌশল
বেশির ভাগ মিটিং, ডিনার, কনফারেন্স—সবই এড়িয়ে চলেন বাফেট। তাঁর মতে, ‘সফল আর খুব সফল মানুষের পার্থক্য হলো খুব সফল মানুষ প্রায় সবকিছুকেই “না” বলে দেন।’

তাঁর পরামর্শ, ‘চল্লিশের পর নিজেকে সংজ্ঞায়িত করুন কী করতে চান আর চান না তার মধ্য দিয়ে।’

সঠিক মানুষকে সঙ্গী বানান
বাফেট বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট হলো ‘জন্ম নেওয়া আর সুজিকে (ওয়ারেন বাফেটের প্রথম স্ত্রী সুজান বাফেট) পাওয়া’।

তাঁর মতে, সঠিক মানুষকে বিয়ে করা উচিত। এটি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কারণ, এটা আকাঙ্ক্ষা থেকে শুরু করে জীবনধারা—সবকিছু বদলে দেয়।

ওয়ারেন বাফেট স্বীকার করেন, ‘আমি আজ যা হয়েছি, তার পেছনে আমার স্ত্রীর অবদান অসীম। জীবনসঙ্গী শুধু সঙ্গী নন, তাঁরা আপনাকেও গড়ে তোলেন।’

প্রতিভার চেয়ে স্বভাব গুরুত্বপূর্ণ
প্রতিভার চেয়ে স্বভাবকে বেশি গুরুত্ব দেন বাফেট। দক্ষতা শেখানো যায়, কিন্তু সততা নয়। তিনি বলেন, ‘খারাপ মানুষের সঙ্গে কখনো ভালো কিছু হয় না।’

তাঁর উপদেশ, ‘এমন মানুষের সঙ্গে চলুন, যাঁর কাছে নির্ভয়ে মানিব্যাগ রেখে আসতে পারবেন। কারণ, প্রতিভার চেয়ে বিশ্বাস অনেক বেশি টেকসই সম্পদ।’

পরিষ্কারভাবে ভাবা
৬৫ বছর ধরে একটি বাসায়ই আছেন ওয়ারেন বাফেট। ওয়াল স্ট্রিট ছেড়ে ওমাহায় গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কাছে এটা পালানো নয়, বরং উন্নতির দিকে ধাবিত হওয়া। কারণ, ভৌগোলিক অবস্থান মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে।

তাই বিশৃঙ্খলার চেয়ে সব সময় স্বচ্ছতাকেই বেছে নিতে বলেন তিনি। সূত্র: প্রথমআলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়