শিরোনাম
◈ বাংলা‌দেশ জিত‌লো তামিমের সেঞ্চুরিতে, সি‌রিজ শেষ হ‌লো সমতায়  ◈ তোপের মুখে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় ছাত্রলীগ কর্মীকে ছেড়ে দিল পুলিশ (ভিডিও) ◈ ‘ফজু পাগলা’ উপাধি যারা দিয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই: ফজলুর রহমান ◈ সরকার থেকে পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদ ◈ ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে বাতিল হবে ৬ ধরনের দলিল: আসছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থা ◈ আগামী নির্বাচন হতে যাচ্ছে মাইলফলক: সিইসি নাসির উদ্দিন ◈ 'র' এর মাধ্যমে শিখ নেতাদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত অমিত শাহ, চাঞ্চল্যকর তথ্যচিত্র প্রকাশ! (ভিডিও) ◈ জেট ফুয়েলের দাম আরও বাড়ল, বিমান ভাড়া কি বাড়বে? ◈ আ.লীগের বড় পরিকল্পনা ফাঁস, গ্রেপ্তার ২৫ ◈ ১৮ নভেম্বর ‘প্রবাসী ভোটার অ্যাপ’ উদ্বোধন

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:৪৪ বিকাল
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নবীজির নির্দেশে যে চারজন সাহাবী ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে এসেছিলেন বাংলাদেশে

ইসলামের আলো পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ার সময় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশে সাহাবীরা ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলাদেশেও ইসলাম প্রচারের সূচনা ঘটে নবীজির জীবদ্দশায় চারজন সাহাবীর মাধ্যমে। তারা ছিলেন:

হযরত আবু ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু, নবীজির চাচাতো মামা, ও তার সঙ্গে আরও তিনজন সাহাবী, যারা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের আরাকান এলাকায় ইসলামের বাণী প্রচার করেছিলেন।

এই মহান সাহাবীরা শুধু স্থানীয়ভাবে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, তারা চীনের ক্যান্টন পর্যন্ত ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দেন। চীনের ক্যান্টনে এখনো হযরত আবু ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর দ্বারা নির্মিত একটি মসজিদ এবং তার কবর বিদ্যমান।

নবীজির যুগে আরব মুসলিম বনিকদের মাধ্যমে এই অঞ্চলে ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে আব্বাসীয় যুগে বাংলাদেশসহ কামরুপ, আসাম, পাল সাম্রাজ্যের অঞ্চলগুলোতে ইসলাম প্রচারিত হয়।

*রাজশাহী পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার এবং কুমিল্লার ময়নামতি এলাকায় প্রাথমিক আব্বাসীয় যুগের মুদ্রা পাওয়া গেছে
* লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের মজুদের আরা গ্রামে হিজরী ৬৯ সালে নির্মিত প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
* উপকূলীয় চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর স্থানীয় নাম ও ভাষায় আরবি অপভ্রংশের প্রমাণও রয়েছে।

ইসলাম প্রচারের জন্য এদেশে তুর্কি মুসলমান এবং সুফি দরবেশদের আগমন ঘটে। তারা বিস্তৃতভাবে বসতি স্থাপন করেন এবং তাদের বংশধরদের মাধ্যমে পরবর্তীতে *বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ*ে পরিণত হয়।

ভারত থেকে রতন আল হিন্দ বা রতন আব্দুল্লাহ আল হিন্দ মদিনায় গিয়ে নবীজির কাছ থেকে ইসলাম গ্রহণ করেন। এছাড়াও মালাবারের চের দেশ থেকেও রাজা চেরম নবীজির কাছে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন।

মধ্য এশিয়া ও পারশ্ব থেকে আগত মুবাল্লিগদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন:

* শাহ মোহাম্মদ সুলতান রুমি
* বাবা আদম শহীদ
* শাহ মকদুম রূপস
* শাহ নিয়ামতুল্লাহ বুৎসিকন
* জালালউদ্দিন তাবরিজি
* হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহ আলাইহি

তাদের প্রচারের ফলে হিন্দু-বৌদ্ধরা দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেন। অনেক সময় শাসকগণও ইসলাম গ্রহণ করে ইসলামের প্রচারে সহযোগিতা প্রদান করেন। তবে কেউ কেউ বিরোধিতা করত এবং মুবাল্লিগদের বিতাড়িত করার চেষ্টা করত।

হিজরী ৭১০ সালের পরে, ১৩০৩ সালে শাহজালাল রহমাতুল্লাহ আলাইহি ৩৬০ জন সঙ্গীসহ দিল্লি থেকে সিলেটে আগমন করেন। তারা অত্যাচারী রাজা গৌরগোবিন্দকে পরাজিত করেন। শাহজালালের মাধুর্য ও নৈতিক চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে হিন্দু-বৌদ্ধরা ব্যাপকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশে ইসলামের আগমন শুধুমাত্র প্রাচীন সাহাবীদের প্রচারের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ ছিল না; মধ্যযুগের মুবাল্লিগ, আরব বনিক এবং সুফি দরবেশদের তৎপরতাও এদেশে মুসলিম সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা আজকের বাংলাদেশকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে পরিণত করেছে।

সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়