আল্লাহ তায়ালা সাহায্য না করলে মানুষের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। সফলতার জন্য নিজের চেষ্টা এবং আল্লাহর সাহায্য দুটোই সমানভাবে দরকার। তবে এমন তিন ব্যক্তি রয়েছেন যাদেরকে সাহায্য করা আল্লাহ তাআলা নিজের ওপর আবশ্যক করেছেন।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আমার উদ্দেশ্যে চেষ্টা-সংগ্রাম করবে, তাদের আমি আমার পথ দেখাব। আর আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মশীল লোকদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা আনকাবুত, আয়াত : ৬৯)
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করবে না এবং তাকে জালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আল্লাহ তার অভাব পূরণ করবেন। যে ব্যক্তি (পৃথিবীতে) কোনো মুসলিমের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন তার বিপদ দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২২৮০)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা তিন প্রকারের মানুষকে সাহায্য করা নিজের কর্তব্য হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। এক. আল্লাহ তাআলার পথে জিহাদকারী, দুই. মুকাতাব গোলাম- যে চুক্তির অর্থ পরিশোধের ইচ্ছা করে এবং তিন. বিবাহে আগ্রহী লোক- যে বিয়ের মাধ্যমে পবিত্র জীবন যাপন করতে চায়।
যে ব্যক্তি বিবাহ করতে চায় তার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ সম্পন্ন কর আর তোমাদের সৎ দাস-দাসীদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয় তাহলে আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত করে দেবেন, আল্লাহ প্রচুর দানকারী, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।
যাদের বিয়ের সম্বল নেই তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যতক্ষণ না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করেন। আর তোমাদের দাসদাসীদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি পেতে চায়, তাদের সঙ্গে চুক্তি কর যদি তাতে কোন কল্যাণ আছে বলে তোমরা জান। আল্লাহ তোমাদেরকে যে মাল দিয়েছেন তার থেকে তাদেরকে দান কর। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না। যদি কেউ তাদের ওপর জবরদস্তি করে তবে তাদের ওপর জবরদস্তির পর আল্লাহ (তাদের প্রতি) ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা নুর, আয়াত: ৩২, ৩৩)। আরটিভি অনলাইন।
আপনার মতামত লিখুন :