শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ করেছেন কর গোয়েন্দারা ◈ যে কারণে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক ও ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করলেন ◈ মানুষকে কামড়ালে ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’ হবে কুকুরের! ◈ ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ: ছয় বছর পর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান! ◈ স্বচ্ছতা আনতে সব প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হবে, আগামী সপ্তাহেই গেজেট: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ◈ মুসলিম দেশগুলো কি ন্যাটোর আদলে যৌথ বাহিনী গঠন করছে? ◈ ম‌্যাচ হারায় বেনফিকার কোচ বরখাস্ত, নতুন দা‌য়িত্ব নি‌তে যা‌চ্ছেন হো‌সে মরিনহো  ◈ টাঙ্গাইলে বেকারির দোকানে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা ◈ ভার‌তের অ‌ধিনায়ক সূর্যকুমারকে ‘শূকর’ ডেকে বিতর্কের মুখে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ক্রিকেটার মোহম্মদ ইউসুফ ◈ তপশিলের আগেই ৭০% প্রার্থী ঘোষণার প্রস্তুতি বিএনপির, যাদের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‎লালমনিরহাটে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তার লাইসেন্স বাণিজ্য

‎‎জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ‎লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকে তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করে লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স প্রদান করে আসছেন।

‎সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নতুন কীটনাশক লাইসেন্স করতে ৩৪৫ টাকা এবং নবায়নে ২৩০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দুই হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

‎পাটগ্রামের কাঁঠালতলী বাজারের ব্যবসায়ী মামুনুর রশীদ অভিযোগ করে বলেন, “লাইসেন্স করার জন্য আমাদের পাঁচ বন্ধুর কাছ থেকে মোট ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে হামিদুল।”
‎একইভাবে বাউরা বাজারের ব্যবসায়ী তহিরুল ইসলাম জানান, তার কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। অপরদিকে একই এলাকার ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, “লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে আমাকে ৩ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।”

‎অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, “আমার কাছে ওদের টাকা জমা আছে। চাইলে ফেরত নিতে পারেন। আমি অতিরিক্ত টাকা নিয়েছি কারণ বিভিন্ন ধাপে টাকা দিতে হয়।”

‎তবে তার এ বক্তব্যে আরও প্রশ্ন উঠছে—যদি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া হয়, তাহলে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার বৈধতা কোথায়? আর তিনি যে "বিভিন্ন ধাপে টাকা দিতে হয়" বলে দাবি করেছেন, সেটি কার কাছে যায় তা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে নতুন রহস্য।

‎খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাটগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন বাজারের কিটনাশক ব্যবসায়ীরা একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, নতুন লাইসেন্স করার সময় এবং প্রতি বছর নবায়নের সময় এভাবে অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে ভয়ে অনেকে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পান না।

‎পাটগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জামিয়ার রহমান বলেন, “সরকারি নিয়মের বাইরে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি এ ধরনের অনিয়মে জড়িত থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

‎স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরে এভাবে কৃষি খাতের লাইসেন্স বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রকৃত উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং কৃষি খাতে দুর্নীতির প্রবণতা বাড়ছে। তারা দ্রুত এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

‎এদিকে সচেতন মহল বলছে, কৃষি খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। অথচ লাইসেন্স প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় সরকারের ভাবমূর্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের অনিয়ম অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়