শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২৩, ০৭:৪১ বিকাল
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২৩, ০৭:৪১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিঙ্গাপুরে গোপন বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারতসহ বিশ্বের গোয়েন্দা প্রধানরা

রাশিদুল ইসলাম: দুই ডজনেরও বেশি দেশের গোয়েন্দা প্রধানরা এ বৈঠকে যোগ দিলেও রাশিয়ার কোনো গোয়েন্দা কর্মকর্তা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভলোদিমির ভি. হ্যাভরিলভ সিঙ্গাপুরে শাংরি-লা ডায়ালগ নামে পরিচিত এই নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিলেও তিনি গোয়েন্দা বৈঠকে যোগ দেননি। শুক্রবারের ওই আলোচনায় ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের চিত্র তুলে ধরা হয়। শাংরি-লা ডায়ালগে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক এভ্রিল হেইনস। দেশটিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা সম্মেলন হিসেবে পরিচিত শাংরি-লা ডায়ালগের ফাঁকে এই গোপন বৈঠক করেন তারা। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও চীন ও ভারতের গোয়েন্দা প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন। আউটলুক

এ বৈঠকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র’এর প্রধান সামন্ত গোয়েল যোগ দেন। এই ধরনের বৈঠক সিঙ্গাপুর সরকার আয়োজন করে থাকে এবং বেশ কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তা সম্মেলনের পাশাপাশি একটি পৃথক ভেন্যুতে বিচক্ষণতার সাথে এটি অনুষ্ঠিত হলেও এর আগে এই ধরনের গোপন বৈঠকের কথা জানা যায়নি। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন এজেন্ডার প্রেক্ষাপটে এধরনের বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয় গোয়েন্দা পরিষেবাগুলির মধ্যে একটি অঘোষিত কোড রয়েছে যাতে তারা কথা বলতে পারে, আনুষ্ঠানিক এবং উন্মুক্ত কূটনীতি কঠিন হয়ে পড়লে পরিস্থিত শান্ত করা যায়। 
গোয়েন্দা প্রধানদের এই গোপন বৈঠক সম্পর্কে জানেন এমন একজন ব্যক্তি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্যাডো এজেন্ডায় এই বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পরিসরের পরিপ্রেক্ষিতে এটি কোনও উৎসব ছিল না, বরং একে অপরের উদ্দেশ্য এবং প্রধান প্রধান বিষয়গুলো গভীরভাবে বোঝার জন্য এটি ছিল একটি উপায়।’ 

সিঙ্গাপুরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের কাছে বৈঠকের বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। এছাড়া এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলেও চীন এবং ভারত সরকার তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড বিস্তৃত পরিসরের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করার জন্য ফাইভ আইস নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে রয়েছে এবং এসব দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ঘন ঘন নিজেদের মধ্যে দেখা করে থাকেন। তবে এধরনের বড় পরিসরে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের এই বৈঠক খুবই বিরল। এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা প্রধানরা অনানুষ্ঠানিক ভাবে জড়ো হন এবং বৈঠক করেন বলেও জানানো হয়েছে। বৈঠকের সুরটি ছিল সহযোগিতামূলক। দ্বন্দ্বমূলক নয়।

বড় পরিসরের এই নিরাপত্তা সংলাপে ৪৯টি দেশের ৬০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি তিন দিনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের পাশাপাশি শাংরি-লা হোটেলে রুদ্ধদ্বার দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক বৈঠক করেন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু এবং ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ মূল বক্তব্য রাখেন। এছাড়া জাপান, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াও এই সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছে। চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রোববার এই সম্মেলনে ভাষণ দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়