শিরোনাম
◈ ১৩ নভেম্বরের ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে কঠোর অবস্থানে সরকার, সন্ত্রাসীদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ চাঁদাবাজ ও লু‌টেরা‌দের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনের চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো: হাসনাত আবদুল্লাহ   ◈ পরমাণু অস্ত্র নয়, ইরানের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি দে‌খে পশ্চিমাদের য‌তো উদ্বেগ ◈ ‌দি‌ল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম ভেঙে তৈ‌রি হ‌চ্ছে অত‌্যাধু‌নিক স্পোর্টস সি‌টি ◈ লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণ: সন্দেহভাজন হামলাকারীর প্রথম চিত্র প্রকাশ ◈ হাসিনার ন্যায়বিচার নিয়ে ‘শঙ্কা’, জাতিসংঘে ২ ব্রিটিশ আইনজীবীর ‘জরুরি আবেদন’ ◈ লালকেল্লা বিস্ফোরণের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তে সর্বোচ্চ ভারতের সতর্কতা জারি ◈ বিশ্বকাপের নিয়মে একাধিক বদল আনতে চাইছে ফিফা ◈ সংসদ নির্বাচনে প্রচারণায় পোস্টার ও ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ◈ আইপিএল ২০২৬-এর নিলাম হ‌বে আবুধা‌বি‌তে 

প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩২ দুপুর
আপডেট : ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমেরিকান রক্ষণশীলদের মধ্যে ইসরায়েল সমর্থনে ফাটল

আমেরিকার রক্ষণশীল রাজনৈতিক শিবির, বিশেষ করে খ্রিস্টান ইভানজেলিক্যালদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের প্রতি অটল সমর্থন দেখা যেত। কিন্তু গাজা যুদ্ধ ও প্রভাবশালী রক্ষণশীল নেতাদের সমালোচনার ফলে সেই সমর্থনে এখন ফাটল ধরতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তন ইসরাইলের জন্য শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং অর্থনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জও তৈরি করতে পারে।

দীর্ঘদিন ধরে ইভানজেলিক্যালদের বিশ্বাস ছিল—ঈশ্বর ইহুদিদের সঙ্গে একটি চিরন্তন চুক্তি করেছেন এবং ইসরায়েল তাদের প্রতিশ্রুত ভূমি। কিন্তু গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযান ও মার্কিন অর্থসহায়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর সেই বিশ্বাস নড়ে গেছে।

সম্প্রতি রক্ষণশীল ধারার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, যেমন ট্যাকার কার্লসন, ক্যান্ডেস ওভেন্স এবং মারজরি টেলর গ্রিন, প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সমালোচনা করেছেন। ফলে সামাজিক মাধ্যমে এবং রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে ইসরাইলবিরোধী মনোভাব বেড়েছে।

অকলাহোমার ইভানজেলিক্যাল পাদরি ও ‘পাস্টরস ফর ট্রাম্প’-এর প্রতিষ্ঠাতা জ্যাকসন লাহমেয়ার বলেন, “ইভানজেলিক্যালরা ঐতিহাসিকভাবে ইসরাইলের শক্ত সমর্থক। কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে আলোচনা বদলে যাচ্ছে।”

পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, ৫০ বছরের নিচের রক্ষণশীল আমেরিকানদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তিন বছরে ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। তরুণ প্রজন্মের এই পরিবর্তন ইসরাইলের জন্য বড় সংকেত হতে পারে।

১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইভানজেলিক্যাল গোষ্ঠীর সমর্থন ক্রমে শক্তিশালী হয়। ২০০৬ সালে গঠিত হয় প্রভাবশালী সংগঠন Christians United for Israel (CUFI), যা লাখো সদস্যকে একত্রিত করেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধ সেই ঐক্যে ধাক্কা দিয়েছে।

মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিবলি তেলহামি বলেন, “১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ইভানজেলিক্যালদের মধ্যে মাত্র ৩২ শতাংশ এখন ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতিশীল। একই বয়সের রিপাবলিকানদের মধ্যে এই হার আরও কম, মাত্র ২৪ শতাংশ।”

তিনি আরও বলেন, “রক্ষণশীল রাজনীতিতে এখন এক নতুন বাস্তবতা তৈরি হচ্ছে। অনেকেই আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতিতে ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই প্রবণতা বাড়লে ভবিষ্যতে মার্কিন সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রভাবিত হতে পারে।”

সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়