দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া: ভারতের রাজধানী দিল্লির লাল কেল্লার কাছে সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অন্তত ৯ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরিত গাড়িটি একটি হুন্ডাই আই২০। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা হতে পারে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, হামলার পরিকল্পনা করেছেন মোহাম্মদ উমর নামের এক সন্দেহভাজন, যিনি ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জড়িত ছিলেন ফরিদাবাদের ‘হোয়াইট কালার টেরর মডিউল'-এর সঙ্গে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, উমর হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি সুনেহরি মসজিদের পাশে প্রায় তিন ঘণ্টা পার্ক করেছিলেন। বিকেল ৩.১৯ থেকে সন্ধ্যা ৬.৪৮ পর্যন্ত গাড়িটি সেখানে ছিল, এরপর বিস্ফোরণ ঘটে। হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, উমরের সহযোগী ছিলেন আদিল আহমদ রাদার ও আরও দুজন। হামলার সময় গাড়িতে উমর একাই ছিলেন।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ উমরের মা এবং দুই ভাইকে আটক করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ফারিদাবাদের এক ডাক্তার মুজামিল শাকিল, যিনি ২,৯০০ কেজি আইইডি তৈরি করার সামগ্রী জব্দ করেছিলেন, তার সঙ্গে উমরের সম্পর্ক রয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত আরও দুইজন, আমীর ও তারিক, বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
গাড়ির মালিকানা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। মূল মালিক মোহাম্মদ সালমান, পরে নাদিম, তারপর রায়েল কার জোনের মাধ্যমে আমীর ও তারিকের হাতে আসে। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ উমরের কাছে যায়। পুলিশ এখন গাড়ির পুরো লেনদেনের খোঁজ করছে।
বিস্ফোরণের পরে, দিল্লি পুলিশ বিস্তৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। চারপাশের সিসিটিভি ফুটেজ, টোল প্লাজা ও রাস্তার ভিডিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণে হতাহতদের মধ্যে কেবল দুই জনই শনাক্ত হয়েছেন, বাকি লাশ ও একটি দেহাংশের পরিচয় স্থির করতে ডিএনএ পরীক্ষা প্রয়োজন।