এল আর বাদল : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর শেষমেশ কোনো উপায় থাকবে না, তারা ইরানকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শিল্পের একটি বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র হিসেবে স্বীকার করতে বাধ্য হবে।
সোমবার (১০নভেম্বর ) ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থায় সফরের সময় তিনি বলেন, পারমাণবিক শিল্প এখন একটি অত্যন্ত বড় শিল্পে পরিণত হয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি করছে- যা সাধারণভাবে কেবল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির সঙ্গে সীমাবদ্ধ মনে করা হয়, প্রকৃতপক্ষে পারমাণবিক শক্তি চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, কৃষি এবং শিল্পসহ মানুষের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। --- পার্সটুডে
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পারমাণবিক প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রেই প্রয়োগ হচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে সহায়ক। এই জ্ঞান ও প্রযুক্তি ইরানে বিজ্ঞানকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং শিল্পসহ দেশের মানুষের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল সহায়তা করছে।
আরাকচি বলেন, পশ্চিমাদের আসল সমস্যা পারমাণবিক অস্ত্র নয়, তাদের আসল উদ্বেগ হলো ইরানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি। দেশটি এমন একটি অত্যন্ত জটিল ও সংবেদনশীল বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে, যেখানে স্বাস্থ্য, শিল্প, পরিবেশ ও কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক রয়েছে, বড় সাফল্য অর্জন করেছে। তারা চায় এই ক্ষমতা শুধুমাত্র নিজেদের হাতে রাখুক; তাই পারমাণবিক অস্ত্রকে অজুহাত বানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ইরানকে এই সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখা এবং সবকিছু নিজেদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে রাখা। এই প্রযুক্তি একটি অত্যন্ত জটিল ও উন্নত বিজ্ঞান, যা ইরানি বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় বৈজ্ঞানিক সাফল্য। কেউই এই সাফল্যকে উপেক্ষা করতে পারে না।
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামী বলেন, “আমেরিকারা তাদের হুমকিপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে ইরানের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। আমরা পরিকল্পনা করছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এই হুমকিকে দূর করতে এবং ইরানের জন্য কোনো বাধা সৃষ্টি না করতে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের পথকে বাধাহীন রাখব এবং ইরানের অগ্রগতিতে কেউ যেন বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করব।