ফিলিপাইনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেবুর প্রদেশের বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড়টি ভিয়েতনামের দিকে ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি চলতি বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি। ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।
কালমায়েগি নামের এ ঘূর্ণিঝড়ে ফিলিপাইনের জনবহুল দ্বীপ সেবুর সব শহর প্লাবিত হয়ে গেছে। সেখানে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বুধবার (৫ নভেম্বর) এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, আরও ২৬ জন নিখোঁজ।
বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, লোকজন ছাদের ওপর আশ্রয় নিচ্ছেন। রাস্তায় গাড়ি ও শিপিং কনটেইনার ভেসে যাচ্ছে।
সরকারি হিসাব অনুসারে, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সামরিক হেলিকপ্টারের ছয়জন ক্রুও আছেন। সেবুর দক্ষিণে মিন্দানাও দ্বীপে ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতার জন্য হেলিকপ্টারটিকে পাঠানো হয়েছিল।
দক্ষিণ লুজন এবং উত্তর মিন্দানাওয়ের কিছু অংশসহ ভিসায়াস অঞ্চল জুড়ে দুই লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঝড়ে তাদের ঘরবাড়ি ডুবে গিয়েছিল এবং বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
প্রাদেশিক গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘সেবুর পরিস্থিতি আগে এমন কখনোই হয়নি।’ জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে চার লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।