শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি: প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট পেশ ◈ বিএনপি প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি মির্জা ফখরুলের ◈ প্রাথমিকে ১০ হাজার ২১৯ পদে শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর ◈ মনোনয়ন বঞ্চিতদের মূল্যায়ন করার আশ্বাস বিএনপির ◈ গণসংযোগের সময় চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ ◈ বিশ্বের প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধে যে ইতিহাস গড়ল মালদ্বীপ ◈ ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগা‌নিস্তা‌নের কা‌ছে ১০২ রা‌নে হে‌রে গে‌লো বাংলা‌দে‌শের যুবারা ◈ হন্ডুরাস‌কে ৭ গোলে হারা‌লো ব্রাজিল ◈ তিন দফা দাবিতে ৮ নভেম্বর আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ◈ দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না: একদিনে ১০ জনের মৃত্যু, ১০৬৯ জন ভর্তি

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৪ বিকাল
আপডেট : ০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১৮ রাত

প্রতিবেদক : মহসিন কবির

মনোনয়ন বঞ্চিতদের মূল্যায়ন করার আশ্বাস বিএনপির

মহসিন কবির: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে একজনের প্রার্থীতা স্থগিত করেছেন। 

ঘোষিত আসনে মনোনয়নবঞ্চিতদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এবং অপেক্ষাকৃত জনপ্রিয় নেতাদের আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মূল্যায়ন করবে বিএনপি। একই সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে দক্ষ এবং বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রাখা নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করবে, এমনটাই জানা গেছে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সাংগঠনিকভাবে দল শক্তিশালী করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে দক্ষ ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে- এমন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও গতকাল সোমবার সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন। যারা মনোনয়ন পাননি তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে!

এদিকে ফাঁকা রাখা ৬৩টি আসন যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র রাজনৈতিক দল এবং নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের থেকে একক প্রার্থী দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দলের হাইকমান্ড। কারা এসব আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন তা নিয়ে এখন চলছে বিস্তর আলোচনা।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দল বা মিত্র রাজনৈতিক দলের যাকেই প্রার্থী করা হবে, তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। একইভাবে দলীয় প্রার্থীকেও বঞ্চিত নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই বার্তা দিয়েছেন। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সঙ্গী ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাস্তবতার কারণে হয়তো কিছু সংসদীয় সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নবঞ্চিত হবেন। বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা- দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে বঞ্চিতরা এই বাস্তবতা মেনে নেবেন। দলের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য করবেন।

দলীয় সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় বা দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ না করলে বা বিরোধিতা করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের চার নেতাকে বহিষ্কার করার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। মাদারীপুর-১ আসনে কামাল জামাল মোল্লার দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের শৃঙ্খলার বাইরে গেলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

গত সোমবার ২৩৭ আসনের যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে, সেই তালিকায় বিএনপির অনেক সিনিয়র এবং রাজপথের ত্যাগী নেতাদের নাম নেই। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ নানা পর্যায়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে রুহুল কবির রিজভী, শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আসলাম চৌধুরী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, তাইফুল ইসলাম টিপু, ওবায়দুর রহমান চন্দন, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, হাসান মামুন, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আকরামুল হাসান মিন্টু, ফজলুর রহমান খোকন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ইকবাল হোসেন শ্যামলের নাম প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় নানা আলোচনা-সমালোচনাও চলছে।

জানতে চাইলে বিএনপির ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, বিগত দিনে রাজপথে সক্রিয় থেকে বারাবার গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীরা যখন দলীয় মনোনয়ন না পেলে ক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের দাবি জোরালো হচ্ছে বিএনপিতে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ত্যাগী নেতাদের বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে খুব শিগগির ইতিবাচক বার্তা আসবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। বিশেষ করে সিটি মেয়র, উপজেলা ও পৌরসভার মেয়র পদে যোগ্যতা অনুযায়ী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে।

এদিকে, ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনের মধ্যে অন্তত ৩০টিতে মিত্র রাজনৈতিক দলের জন্য ছাড়া দেওয়া হতে পারে। জোটের শর্তে এসব আসনে ছাড় দেওয়া হবে। এর মধ্যে নীলফামারী-১ আসনে বিএনপির শাহরিয়ার ইসলাম তুহিন এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি উভয়ই প্রার্থী হতে চান। বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ফলে বিএনপি নিজস্ব প্রার্থী দেয়নি। ঝিনাইদহ-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ উভয়েই মনোনয়ন চাইছেন। আলোচনা আছে জেলা বিএনপি সভাপতি ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন। তাই দুটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা হয়নি।

যশোর-৫ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী আব্দুর রশিদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তবে কয়েকজন বিএনপি নেতা এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী। নড়াইল-২ আসনে বিএনপির জোটভুক্ত ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রার্থী হচ্ছেন। পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বিএনপির মিত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে চান হাসান মামুন।

ঝালকাঠি-১ আসনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রার্থী হয়েছেন, সেখানে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে চান রফিকুল হক জামাল। একইভাবে পিরোজপুর-১ আসনে ১২-দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার প্রার্থী হচ্ছেন। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় দল চেয়ারম্যান ও ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম দুজনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, বিএনপি সেখানে মনোনয়ন স্থগিত রেখেছে। ঢাকা-৯ আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা ডা. তাসনিম জারা প্রার্থী হচ্ছেন। ঢাকা-১৩ আসন জোটভুক্ত ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালীব রহমান পার্থ প্রার্থী হচ্ছেন, আর ঢাকা-১৮ আসনে এনসিপি নেতা নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী সম্ভাব্য প্রার্থী। তাই বিএনপি নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণা করেনি। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন জোটের জন্য খোলা রাখা হয়েছে, সেখানে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাশেমী ও এনসিপির আবদুল্লাহ আল আমিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক, সুনামগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির একাধিক নেতা মনোনয়ন চাইছেন, পাশাপাশি জমিয়তের যুগ্ম মহাসচিব শোয়াইব আহমেদ ও এনসিপির অনিক রায়ও প্রার্থী হচ্ছেন। তাই এখনও এ আসনের সিদ্ধান্ত হয়নি। লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষনেতা শাহাদত হোসেন সেলিম নির্বাচন করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। কুমিল্লা-৭ আসনে এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ নির্বাচন করছেন। কক্সবাজার-২ (মহেশখালী কুতুবদিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) যুগ্ম সদস্য সচিব সুজা উদ্দিন ও বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মো. মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ মাঠে রয়েছেন।

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক ও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন নির্বাচন করবেন। এই আসনে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনীর হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম তালুকদার এবং ইঞ্জিনিয়ার ফারুক হোসেন। রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনে এনসিপির সংগঠক কবি সাইয়্যেদ জামিল, গণঅধিকার পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলামকে নিয়ে আলোচনা চলছে। সিলেট-৪ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকীর নাম আছে আলোচনায়। ফরিদপুর-১-এ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুফতি শারাফাত হোসাইন আলোচনায় আছেন। সিলেট-৫ জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, বিএনপির চবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মামুনুর রশীদ মামুন, প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজীন চৌধুরী আলোচনায় আছেন। সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই ও শাল্লা) আসনে প্রার্থী হতে পারেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শুয়েব আহমদ ও এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়।

সুনামগঞ্জ-৪, হবিগঞ্জ-১, লক্ষ্মীপুর-৪ এবং চট্টগ্রাম-১৪ ও ১৫ আসনেও একই পরিস্থিতি। ঢাকা-৭ আসনটি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মামুনুল হকের জন্য বিবেচনায় আছে, তবে তিনি বিকল্পভাবে বাগেরহাট-১ আসন থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির কোনো হেভিওয়েট কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। যদিও এই আসনে বিএনপি শেখ রবিউল ইসলাম ও ব্যারিস্টার নাসীরউদ্দিন অসীম মনোনয়নপ্রত্যাশী। ঢাকা-২০ আসনেও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই আসনে ঢাকা যুবদলের জেলা সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, বিএনপি নেতা তমিজউদ্দিন এবং সুলতানা আহমেদ মনোনয়নপ্রত্যাশী।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন এবং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম- দুজনই প্রার্থী হতে চাওয়ায় দল এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। একইভাবে এই আসনে গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসান প্রার্থী হতে চান। এ ছাড়াও দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-৩, লালমনিরহাট-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, খুলনা-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-১০, কিশোরগঞ্জ-১, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-৩, গাজীপুর-১, গাজীপুর-৬, নরসিংদী-৩, রাজবাড়ী-২, মাদারীপুর-২, কুমিল্লা-২, ময়মনসিংহ-৪, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৯, বরিশাল-৩, ফরিদপুর-১, চট্টগ্রাম-১১ এবং কক্সবাজার-২ অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকট হওয়ায় এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি।

বহিষ্কার ৪ জন : গত সোমবার সন্ধ্যার পর দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার, জলিল গেট এলাকায় সহিংসতা, হানাহানি ও রাস্তা অবরোধসহ নানাবিধ জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় (আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত) সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুণ্ড পৌরসভার আহ্বায়ক মামুন, যুবদলের সোনাইছড়ীর সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টুকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়