আনাদোলু: চীন, রাশিয়া, ইরান ও পাকিস্তান যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে কোনো সামরিক ঘাঁটি পুনঃস্থাপনের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এই বিরোধিতার প্রেক্ষাপট তৈরি হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে। তিনি আফগানিস্তান ক্ষমতাসীন তালেবান প্রশাসনের প্রতি বাগরাম বিমানঘাঁটি ফের যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা দপ্তরের (পেন্টাগন) কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
বেইজিংয়ে সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের মধ্যে আফগানিস্তান বিষয়ে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি যে দেশগুলো আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী, তাদের দ্বারা দেশটিতে বা অঞ্চলে পুনরায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে অংশ নেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাঘচি, চীনের আফগানিস্তানবিষয়ক বিশেষ দূত ইউয়ে শিয়াওয়ং এবং পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক উমের সিদ্দিক। বৈঠকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করেন চীনা দূত ইউয়ে শিয়াওয়ং।
গুয়ো জিয়াকুন বলেন, এটি প্রমাণ করে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলো তার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও জাতীয় মর্যাদাকে কতটা সম্মান করে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, তালেবান প্রশাসন যদি বাগরাম বিমানঘাঁটি পেন্টাগনের হাতে তুলে না দেয়, তবে খারাপ কিছু ঘটবে।
অনুবাদ: যুগান্তর