এল আর বাদল : ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। আশঙ্কার মেঘ বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে এই যুদ্ধে নয়া মোড়। বেশিরভাগ দেশ ইরানের আক্রমণের নিন্দা করলেও, এমন একটি দেশ আছে যারা ইসরায়েলের আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব।
উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন ইরানের উপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছেন। পিয়ংইয়ংয়ের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইরানের অসামরিক, পারমাণবিক এবং জ্বালানি কেন্দ্রগুলিতে হামলার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে, এটি মানবতার বিরুদ্ধে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলবে। --- জি নিউজ
উত্তর কোরিয়া কেবল ইসরায়েলের সমালোচনাই করেনি, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলিকেও কাঠগড়ায় তুলেছে। উত্তর কোরিয়ার দাবি, এই অপরাধের যৌথ অংশীদার আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলিও। অভিযোগ, এরা রাষ্ট্রীয়মদতপুষ্ট জঙ্গিদের রক্ষা করছে। উত্তর কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেছেন যে, ইসরায়েলের সঙ্গে আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য ক্যান্সার হয়ে উঠছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমেরিকা এবং পশ্চিনী দেশগুলির উপর নজর রাখছে, যারা ক্রমাগত ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং আত্মরক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করার চেষ্টা করছে।
উত্তর কোরিয়ার পাল্টা সতর্কীকরণ ----
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন যে, ইরানের বিরুদ্ধে তাঁর ধৈর্য এখন শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা পরিস্থিতিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে। এর জবাবে ট্রাম্পকে নিসানা করে উত্তর কোরিয়া বলেছে যে, আপনার পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই বিবৃতি থেকে স্পষ্ট যে, উত্তর কোরিয়া এবং ইরান উভয়ই অসন্তুষ্ট। তারা বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতার জন্য এটিকে দায়ী বলে মনে করে।
পারমাণবিক উত্তেজনার ইঙ্গিত ---
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প তাঁর সহযোগীদের বলেছেন যে- তিনি ইরানে আক্রমণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন কিন্তু পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করার শর্তে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বরাবর সংঘাতের সম্পর্ক। সেই প্রেক্ষিতে চলতি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নতুন করে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়া কিছু আশ্চর্যের নয়। আর সেটাই ঘটলো।