শিরোনাম
◈ হাজারীবাগে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ◈ প্রশান্ত মহাসাগরের পথে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টিলথ বোমারু: নিউইয়র্ক টাইমস ◈ ইসরায়েলকে থামাতে সম্মিলিত কূটনৈতিক পদক্ষেপ জরুরি: ওআইসি সম্মেলনে তৌহিদ হোসেন ◈ ইরানে ডজনখানেক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দাবি ইসরায়েলের ◈ সাংবিধানিক কাউন্সিল : কিছু প্রশ্ন ও বিএনপির আপত্তি ◈ সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনজনের নাম চূড়ান্ত করেছেন খামেনি ◈ সাবেক সিইসি-ইসিদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি: বিতর্কিত তিন নির্বাচন ◈ ‘বিস্মিত’ ইসরাইল, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ইরানের ড্রোন হামলা ◈ নির্বাচনে জোর, আসনভিত্তিক জরিপ চালাচ্ছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ◈ কী কী অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে ইরান-ইসরাইল সংঘাতে?

প্রকাশিত : ২২ জুন, ২০২৫, ১২:০৪ রাত
আপডেট : ২২ জুন, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাংবিধানিক কাউন্সিল : কিছু প্রশ্ন ও বিএনপির আপত্তি

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন।। সংবিধান সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল বা এনসিসি গঠনের প্রস্তাবের বিপক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। তাদের সমর্থন জানাচ্ছে সমমনা ১২ দলীয় জোটও।

বিএনপির দাবি, প্রস্তাবিত এনসিসি গঠন হলে তারা সীমাহীন ক্ষমতা পাবে, তাদের কোনো জবাবদিহি থাকবে না। একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি এটি সমর্থন করতে পারে না।

তবে এনসিসির পক্ষ শক্ত অবস্থান নিয়েছে জামায়াত ও এনসিপির মতো সরকারঘনিষ্ঠ দলগুলো। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এমনও মন্তব্যও করেছেন, ‘‘যারা এনসিসি গঠনের বিপক্ষে, তারা মূলত ফ্যাসীবাদী কাঠামোয় থেকে যেতে চান।''

এনসিসি ছাড়াও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরিবর্তন আনার মতো বেশকিছু মৌলিক ইস্যুতে আপত্তি তুলেছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। আর পুরো বিপরীত অবস্থান নিয়েছে জামায়াত, এনসিপিসহ তাদের সমমনা বিভিন্ন দল। ফলে আলী রীয়াজ কমিশনের সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে আদৌ কতটা মতৈক্য হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বড় প্রশ্ন। এই অচলাবস্থা কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়েও তৈরি হতে পারে জটিলতা।

এনসিসি কী, কেন তাতে আপত্তি

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধান সংস্কারের জন্য ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশন এ বছরের ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিশনের বিভিন্ন সুপারিশের একটি হলো জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন।

কমিশনের প্রতিবেদনে এনসিসি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠিত হবে। এনসিসির সদস্য হবেন- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, আইনসভার নিম্নকক্ষের স্পিকার, উচ্চকক্ষের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিরোধী দল মনোনীত নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পিকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতার প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের বাইরে আইনসভার দুই কক্ষের বাকি সব দলের সদস্যদের মধ্যে থেকে মনোনীত একজনও এনসিসির সদস্য হবেন।

আইনসভার উভয় কক্ষ গঠনের তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এনসিসি গঠিত হবে। এনসিসির মেয়াদের বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়েছে, আইনসভা ভেঙে গেলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শপথ না নেয়া পর্যন্ত এনসিসি সদস্যরা কর্মরত থাকবেন। এমনকি নতুন আইনসভা গঠনের আগেও অস্তিত্ব থাকবে এনসিসির। নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এনসিসির সদস্য হিসেবে থাকবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টার মনোনীত উপদেষ্টা পরিষদের দুজন সদস্য।

এনসিসির এখতিয়ার ও কার্যপরিধি দৃশ্যত সীমাহীন। আর সেখানেই প্রধান আপত্তি বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর। তারা বলছে, প্রস্তাবিত এনসিসির বিধান কার্যকর হলে তা নির্বাচিত সরকারের চেয়েও ক্ষমতাধর এক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জন্ম দেবে। এনসিসির জবাবদিহির কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় এটি বিপর্যস্ত করবে রাষ্ট্র ও সরকারের স্বাভাবিক এখতিয়ারকে। রীয়াজ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, এনসিসি অনেকগুলো সাংবিধানিক পদে নিয়োগদানের একক কর্তৃত্ব লাভ করবে। এগুলো হলো, নির্বাচন কমিশনের প্রধানসহ অন্য কমিশনার, অ্যাটর্নি জেনারেল, সরকারি কর্মকমিশনের প্রধানসহ অন্য কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধানসহ অন্য কমিশনার, প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধান এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত অন্য যোকোনো পদ।

এখানেই শেষ নয়, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, আরো কিছু ক্ষেত্রে অপরিসীম ক্ষমতা পাবে এনসিসি। নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন- সেটাও ঠিক করবে এই কাউন্সিল। সুপারিশে এজন্য কয়েকটি বিকল্প ঠিক করে দেয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো, এনসিসির ৯ সদস্যের মধ্যে ন্যূনতম সাত সদস্যের সিদ্ধান্তে এনসিসির সদস্যদের বাইরে নাগরিকদের মধ্যে থেকে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। সেটি সম্ভব না হলে কোনো অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের মধ্যে থেকে একজনকে এনসিসির ন্যূনতম ছয় সদস্যের সিদ্ধান্তে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে। সেটাও সম্ভব না হলে এনসিসির সব সদস্যের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের আরো কয়েকটি ফর্মুলা দেয়া হয়েছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতিকে প্রধান উপদেষ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে এনসিসি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে যিনি সবার শেষে অবসরে গেছেন, তিনি প্রধান উপদষ্টা হবেন। তবে সবশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে না পাওয়া গেলে, অথবা তিনি প্রধান উপদেষ্টা হতে অসম্মত হলে তার আগে অবসরে যাওয়া প্রধান বিচারপতি প্রধান উপদেষ্টা হবেন। একইভাবে তাকেও না পাওয়া গেলে, অথবা তিনি অসম্মত হলে পর্যায়ক্রমে তার আগের প্রধান বিচারপতি প্রধান উপদেষ্টা হবেন। এভাবেও কোনো প্রধান বিচারপতিকে পাওয়া না গেলে আপিল বিভাগের অবসরে যাওয়া বিচারকদের মধ্যে সবশেষ অবসর নেয়া বিচারক প্রধান উপদেষ্টা হবেন। তাকেও না পাওয়া গেলে বা তিনি রাজি না হলে পর্যায়ক্রমে তার আগে অবসরে যাওয়া আপিল বিভাগের বিচারক হবেন প্রধান উপদেষ্টা।

তবে যেভাবেই প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ পান না কেন তাতে অবশ্যই সায় থাকতে হবে এনসিসির। অর্থাৎ, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এক পর্যায়ে বিদায় নেবে, এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ভোট হবে, এরপর নতুন সরকার আসবে, কিন্তু দেশে সব সময়েই অপরিমেয় ক্ষমতা নিয়ে সক্রিয় থাকবে জাতীয় সরকারের আদলে গঠিত ‘এনসিসি'।

শুধু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে নিয়োগ নয়, আরো কিছু ক্ষমতা এনসিসিকে দেয়ার কথা বলা, যেগুলো তৈরি করতে পারে দ্বৈত শাসন। যেমন, আলী রীয়াজের কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল থাকবে। তবে এই কাউন্সিলে তদন্ত ও অনুসন্ধানের অভিযোগ পাঠানোর ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি এনসিসিরও থাকবে।'

এ ধরনের দ্বৈত কর্তৃত্বের ফলে বিচারবিভাগ জন্য তৈরি হতে পারে আতঙ্কের পরিবেশ। আবার এনসিসির একজন সদস্য হিসেবে যেখানে প্রধান বিচারপতি থাকছেন, সেখানে তার মাধ্যমেই কোনো বিচারকের বিষয়ে তদন্ত অনুসন্ধানের অভিযোগ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে কী করে যাবে তা-ও একটি বড় প্রশ্ন। আপিল বিভাগ বিচারক অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করে গত বছরের ২০ অক্টোবর রায় দেয়। এই রায়ের ফলে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। এই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠিত হয় প্রধান বিচারপতি ও পরবর্তী দুজন জ্যেষ্ঠ বিচারককে নিয়ে। এখন যদি এনসিসি কার্যকর হয় তাহলে দেখা যাবে প্রধান বিচারপতিকে সদস্য হিসেবে রাখা এনসিসি কোনো বিচারকের বিষয়ে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিচ্ছে প্রধান বিচরপতিকে নিয়েই গঠিত সুপ্রিম জুডিমিলায় কাউন্সিলের কাছে!

এনসিসির সুপারিশে আরও বিভিন্ন দিক রয়েছে যেগুলো বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। যেমন আলী রীয়াজের কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা জারির একক ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে না। তিনি কেবল এনসিসির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবেন। এমনকি জরুরি অবস্থার সময়ে নাগরিকদের কোনো অধিকার রদ বা স্থগিত করা যাবে না। নাগরিকদের আদালতে যাওয়ার অধিকারও রদ বা স্থগিত করা যাবে না।   

এনসিসিতে যদি বাংলাদেশের সব বড় দল ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য থাকে, তাহলে তাদের সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জরুরি অবস্থা জারি কোনো পরিস্থিতিতেই সম্ভব কিনা সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সেক্ষেত্রে একমাত্র অন্য দেশের সঙ্গে যুদ্ধপরিস্থিতিতেই জরুরি অবস্থা জারির ঐকমত্য হওয়া সম্ভব। আবার তেমন পরিস্থিতিতেও যদি সব নাগরিক অধিকার বহাল থাকে তাহলে জরুরি অবস্থা পরিণত হবে একটি আলঙ্কারিক হাতিয়ারে।

সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে ফ্রান্স, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া, ঘানা, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং কাজাখস্থানসহ বিশ্বের অনেক দেশের সংবিধান বিভিন্ন আদলে সাংবিধানিক কাউন্সিলের ধারণা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ফ্রান্সের বিধান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, সেখানকার সাংবিধানিক কাউন্সিলের গঠন ও এখতিয়ার একেবারেই আলাদা। রাষ্ট্র ও সরকারের স্বাভাবিক এখতিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং সাংবিধানিক পদে নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। ফ্রান্সের সাংবিধানিক কাউন্সিল একটি আদালত হিসেবে কাজ করছে, যারা কোনো আইন প্রণয়নের আগে এর সাংবিধানিক বৈধতা সম্পর্কিত বিষয়ে শুনানি গ্রহণ এবং রায় দিতে পারে। নির্বাচনি বিরোধ সংক্রান্ত ইস্যুও সুরাহা করার এখতিয়ার রয়েছে তাদের। ফ্রান্সের সাংবিনিক কাউন্সিলের সদস্যরা নিয়োগ পান ৯ বছরের জন্য এবং তাদির নিয়োগ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের দুই কক্ষের সভাপতিরা। ফলে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সের সাংবিধানিক কাউন্সিলের গঠন বা এখতিয়ারের সঙ্গে আলী রীয়াজ কমিশনের প্রস্তাবিত কাউন্সিলের মিল খুবই সামান্য।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একপ্রতিবেদনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের বরাতে প্রস্তাবিত সাংবিধানিক কাউন্সিল সম্পর্কে পরিষ্কার আপত্তি উঠে এসেছে। তিনি বলেন, ‘এনসিসিকে সাংবিধানিকভাবে অনেক অনেক ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর জবাবদিহি নাই। যদি কর্তৃত্ব থাকে, ক্ষমতা থাকে কিন্তু জবাবদিহিতা থাকে না, সেই রকম কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমরা গণতান্ত্রিক পার্টি হিসেবে সমর্থন জানাতে পারি না।‘

এ  ধরনের কাউন্সিল সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা জন্ম দেবে আশংকা করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে প্রধান করে নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি সাংবিধানিক কাউন্সিলের প্রস্তাব করেছে কমিশন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী, উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষের স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেত্রী, প্রধান বিচারপতি, বিরোধী দল মনোনীত ডেপুটি স্পিকারের নিয়ে এসসিসি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এ ধারণার সঙ্গে একমত না।'

অন্যদিকে বিএনপির সমমনা দল গণ ফোরাম সাংবিধানিক কাউন্সিলকে দেখছে সরকারের ভেতরে আরেক সরকার হিসেবে। দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখানে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের সরকারের তিনটি অঙ্গ রয়েছে, একটা বিচার বিভাগ একটা নির্বাহী বিভাগ ও আইন সভা। এই তিনটিকে একত্রিত করে যদি এনসিসি গঠন করা হয় তাহলে যে সরকার হবে তা সরকারের উপরে আরেকটি সরকার হবে।”

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়