ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি নিয়ে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডকেও বিশ্বাস করছেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুলসী বলছেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না। তবে ট্রাম্প বলছেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি নিয়ে তুলসীর তথ্য ‘ভুল’।
ইরান-ইসরাইল চলমান সংঘাতের মধ্যে শুক্রবার (২০ জুন) এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তাকে প্রশ্ন করা হয়, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে, এমন কোন গোয়েন্দা তথ্য তার কাছে আছে কি না। তার গোয়েন্দা সংস্থা আগেই বলেছে যে, তাদের কাছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
ট্রাম্প জবাবে বলেন, ‘তা হলে আমার গোয়েন্দা সংস্থা ভুল। গোয়েন্দা সংস্থায় কে এটা বলেছে?’ সাংবাদিক বলেন, ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড।’ ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ‘সে ভুল বলেছে।’
গত মার্চ মাসে গ্যাবার্ড কংগ্রেসকে বলেছিলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে ইরান ২০০৩ সালে স্থগিত করা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি আবার শুরু করেনি। যদিও তখন ইরানের কাছে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির একটি উপাদান, সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। ইরান বরাবর বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি ‘শান্তিপূর্ণ’। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো বলছে, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। একই বক্তব্য ইসরাইলেরও।
এই দ্বন্দ্বের অবসানে অনেক কূটনৈতিক দৌঁড়ঝাপের পর ২০১৫ সালে ঐতিহাসিক ইরান পরমাণু চুক্তি সই হয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও তাতে স্বাক্ষর করে চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন ও ইইউ। ওই চুক্তির আওতায় তেহরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করলে তাদের ওপর থেকে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। পরমাণু ইস্যুতে নতুন চুক্তির লক্ষ্যে সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও তেহরান নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। সেই আলোচনার মধ্যেই ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল।